কবিতা লেখার জন্য কলম ভাঙতে হয় না। কবিতার ছন্দতেই আমাদের জন্ম। বুক-স্পন্দন সে তো কবিতার মতোই ছন্দময়। সমস্ত কিছুর ছন্দ আছে। কবিতারও ছন্দ আছে। কবিতায় অনেক বেশি কিছু রয়েছে। কি রয়েছে...তা যে পড়ে সে জানে, যে পড়ে না সেও জানে। কবিতার বিস্তৃত অনুমান, অনুভূতি, ভাবনার প্রসারতা রয়েছে। সে সব কথা কবি মানসদের নাই বা বললাম। আমি শুধু বলতে চাই কবিতার রহস্য কলম ভাঙায় নেই। কবিতার রহস্য লুকিয়ে থাকে জীবন বোধের ভিতর। কেউ সেই বোধ বুঝতে পারে, কেউ তা অস্বীকার করে। এভাবেই কবিতার সরল পথ এগিয়ে চলে। কবিতার জন্য চাই দৃষ্টি, সেই দেখার ইচ্ছে থাকলে কবিতা তোমার কলমে ধরা দেবেই। সমাজকে নতুন করে শেখানোর ক্ষমতা আমার নেই, তবে কবিতার ধারাকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য পাঠককে বলার সময় এসেছে।
বিশ্বাস করুন কলম দিয়ে কবিতা হয় না। কবিতা হয় অন্তর দিয়ে। আত্মা দিয়ে। কবিতা লুকিয়ে থাকে আত্মার ভিতরে। লুকিয়ে থাকে অনির্দিষ্ট এক চেতনার ভিতরে। কবিতার নিজস্ব অনেক ইচ্ছা অনিচ্ছা কবির ব্যক্তিসত্ত্বার সাথে জড়িত। কবিতার ভিতর আত্মার স্পন্দন তাই খেলা করে। কবিতার তাই কলম দরকার কেবল বর্হিপ্রকাশের জন্য। সেই পথ ধরে কবিতা এগিয়ে চলে। এগিয়ে চলে রহস্য। এগিয়ে চলে চেতনা। এগিয়ে চলে অনন্তকাল। এগিয়ে চলে রহস্য। এগিয়ে চলে কবিতা লেখা তাগিদ। এই তাগিদটা মনের ভিতরে লুকিয়ে। এই লুকিয়ে থাকা তাগিদ জাগ্রত হলেই কবিতা আসবে। কবিতা আসবে আনন্দ, দুঃখ থেকে শুরু করে জীবনের সমস্ত যাপনে। কবিতা যে অনন্ত পথ। সেই তরঙ্গ...ইথার রূপ ধরতে হবে আত্মা থেকে। আত্মা থেকে তা ধরতে পারলেই মুক্তি পাবে কবিতার রং রূপ ও রস। ভাষার সীমা পেরিয়ে এড়িয়ে কবিতা চলবে...কবিতার পথে। অপেক্ষায় তোমার কলম একদিন কবিতা লিখবে, ভাঙবে না তার নিব....কবিতা মনে...স্ফুরন।
কবিতা আসুক মন গাঙ্গচিল....
আকাশের মুখ ভার..নয় নীল..
ঠোঁটময় সোনালী চিল...
চুপ কথার কেন পাঁচিল...
নাজুক, নাজুক এ দিল...
তুমিও মাতাও সৃষ্টির ম্যায়ফিল...