পাহাড়ের থেকে সমুদ্র পথে অনেক নদী ঝর্ণা। কবিতা কিন্তু সে সব পথ ধরেই এগিয়ে চলে... সকলে তা বোঝে না। একে অপরকে কিছু কঠিন ভাষা, কঠিন প্রতিবাদ কলমের আগুন দ্যাখায়। কবিতা তো তা নয়। কবিতার সারল্য শিশুর মতো স্পষ্ট। সকলে সে পথ, সে জীবন পায় না। সকলের জীবনে নানা গতিময়তায় বিঘ্ন থাকে। কবিতা সেগুলোতে এসে আটকে যায়। ভ্রমণ জীবনে কবিতার রুদ্ধতা পছন্দ নয়। পছন্দ নয় সংকল্পহীন সংকল্পে মিলিয়ে দেওয়া বিস্তারিত অপেক্ষা। এগিয়ে চলে জীবন। কবিতা তাই হারিয়ে যায়।
এখন কিছু মানুষ কবিতা লেখেন যাদের জীবনে নতুন করে কিছু পাওয়ার নেই, অথবা অনেক পাওয়ার আছে...এই দুই ধরণের প্রাণী। যার পাওয়ার আছে, সে তার টাকার পাওয়ার দ্যাখায়। কবিতা তো অন্য পাওয়ার কথা বলে। এই দল সে কথা বোঝে না। চুপ করে খুঁজে চলে। কি খোঁজে...নাম, যশ। আর একদলের প্রতিভা আছে, কবিতার প্রতি আত্মনিয়োগ আছে, নিজের লেখার নিজস্ব ঘরানা আছে। তারা সময়ের কাছে ব্রাত্য হয়ে থেকে যায়। কারণ একটাই কবিতার ভাষা তো সবার কাছে সমান নয়। দেখাতে দেখাতে সব কেমন যেন উলোটপালট হয়ে যায়। সমস্ত সময় তাই সৌন্দর্য চিন্তায় কবিতার আসল সৌন্দর্য নষ্ট হয়। সেই নষ্ট মৃগনাভির খোঁজই তো জীবন। সকলে সে জীবন বোঝে না, সকলে সে জীবন খোঁজে না। সত্য কবি কজনা....তাই তো কবির মনে বসত করে কড্ডা কবিতার গাছ, কবি মন তো নেচে চলে বনমালীর নাচ...