কবিতার সাথে আষ্টেপৃষ্টে স্মার্ট ওয়েব সাহিত্য শিখিয়েছে। অথবা বলতে পারেন বেকার থুড়ি স্বল্প নিশ্চিত রোজগারের জীবনে কবিতা নিয়ে থাকলে বাকি চিন্তা কম আসে। কবিতার ভূত বলে নিজেই নিজের সাথে মস্করা করি।
মেট্রো স্টেশনে ঢোকার মুখে ঘোষের জন্য দাঁড়িয়ে। এক নেংটি পরা সাধুবাবা এলো। লাস্ট ট্রেন একটু পরেই...সে এসে বলে ওকে টাকা দিলে একটা বটিকা দেবে, খেলে আমার কবিতা ভাল হবে। না টাকায় গেড়ো...আমায় মেট্রোর ভূত ধরবে। কবিতার ভূত বলে কথা। তো আমি বললাম, কবিতা ভূত ধরুক আমায়। কবিতার সাথে থাকলে ভালই হবে। সাধুটা অঘোর মনে হল। হঠাৎ উধাও হয়ে গ্যালো। আমার মাথায় কবিতার বাইলাইনারটা ছিল...কিন্তু এখন সব ফাঁকা। ঘোষ এলো, দৌড়ে গিয়ে টিকিট কেটে নিচে নেমেছি। সুড়ঙ্গে হঠাৎ দেখি একটা মেম ভূত। ডাকছে। কাছে যেতে...ঠান্ডা আবেশ...ছুয়ে দিল...বলল ছবি তুলে রাখ...আমি তোর ভিতর ঢুকে গেলাম। বিশ্বাস করুন সেই কবিতার ভূতের জন্য আমি লিখি কিনা জানি না, তবে লিখতে শুরু করলেই দেখি কবিতা হয়ে যায়। কবিতার ফর্দ, কবিতার হিসাব, কবিতার উত্তরপত্র, কবিতার স্বাক্ষর, কবিতার দলিল...সব কবিতা কবিতা কবিতা...আজ তাই ঠিক করেছি মুক্ত গদ্য লিখব...দেখি...ভূতটা ছাড়ে নাকি...অঘোর সাধুটাকে পেয়েছি...ব্যাটা প্রোফাইল খুলেছে। ভূতটা কবিতার...তাই ভাবছি কি করব!! কি করা যায় বলুন তো...
থাকবে সাথে কবিতার ভূত
নিজেকে লাগছে বঙ্গ রাজপূত...