কবিতার কথা ভাবতে ভাবতেই খুন হয়ে যায় দেশ, কাল, সময়। কবিতা তবু দেশকে বোঝে না। আসলে কবিতা লিখছেন যে কবি, সে তো কবিতা খুঁজে চলেছে, দেশকে বোঝেনি, দেশকে বুঝতে গেলে সময়কে বুঝতে হবে আর সেই সময়ের পথ ধরেই কাল বোঝা যায়। তাই বেতস গাছের মতো ভাসিয়ে দ্যায় গা। সারা শরীর জুড়ে সকলে যা লিখছে, যা সৃষ্টি করছে, সেই পথেই এগিয়ে চলে। এটাই মজা। এটাই দেখার। এটাই ভাবার।
কবিতা কি গা ভাসানো!! যদি তাই হত, তাহলে কিছু লেখক, কবি কালজয়ী হত না। সকলেই কালজয়ী হত। সকলে আসলে কবিতা লিখতেই পাড়ে না। যেমন আমি। কবিতা লিখতেই জানি না। কবিতা কি, খায় না মাথায় দ্যায় তাই বুঝি না। বাংলা শব্দ এক জায়গায় করলেই যদি কবিতা হতো তাহলে অভিজ্ঞতার দাম থাকত না। জীবন শব্দটার মানেই পাল্টে যেত। কবিতার নির্দিষ্ট কথা থাকে। কবিতার নির্দিষ্ট বাণী থাকে। কবিতার নির্দিষ্ট আবেদন থাকে। আমরা না-কবিতার ভিতর তা খুঁজে চলি। কেন চলি তাও জানি না। তবে জানি এসবের মানে হয় না। কবিতার কথারা অন্য কিছুর জন্য বাঁচতে চায়। কবিতার নিজস্ব চেতনাকে বুঝতে হবে। তবেই কবিতা চর্চা স্বার্থক হবে। কবিতা বিনোদন নয়। কবিতাও হাতিয়ার। কবিতাও জীবনের রসদ। কবিতাই পারে চুপ করে ভাবাতে। কবিতাই পারে সংঘবদ্ধ করতে। কবিতায় জানে এক জাতির অধিকারকে সঠিক ভাবে বুঝে নিতে।
কবি আপনারাও কবিতার কথাগুলো বুঝে লিখছেন তো? এমন লিখছেন তো যাতে নতুন বিপ্লব শুরু হয়!! যাতে মানুষ মানুষের মতো বাঁচতে শুরু করে। সবাই বাঁচার অধিকারটুকু পায়। কি বলেন?