আধুনিকতা নয়, সময়ের সাথে শব্দের মানেরা স্পষ্ট হয় কবিতায়। কবিতা আজ দুর্বোধ্য মনে হতেই পারে। যে কবি যত বেশি কবিতা নিয়ে ভাববে, সে তত বেশি কবিতার সাগরে ডুবে যাবে। তাই কবিতার মানে এখন অনেকের কাছে গূঢ়। একদিন তা স্পষ্ট হবে। সেদিন আজকের খারাপ তার কাছে সঠিক মনে হবে। একদিন যে বিপ্লবীদের ইংরেজ দেশদ্রোহী বলেছিল, সেই বিনয়-বাদল-দীনেশ, মাতঙ্গীনী হাজরা, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, ক্ষুদিরাম আমাদের কাছে ছিল প্রিয়। কবিতাও তেমনি আপেক্ষিক। নজরুলের কবিতা ব্রিটিশ বোঝেনি...জেল বন্দি হয়েছেন, রবি ঠাকুরকে নাইট উপাধি ত্যাগ করতে হয়েছে। এই কবিতার পথ ধরেই পাল্টেছে সময়। সেদিনে আপেক্ষিকতা আজ সত্য।
তাই কবিতার আধুনিকতা, উত্তর আধুনিকতাও সত্য। কবিতা নিয়ে মানুষ অনেক বেশি ভাবছেন। এই ভাবনা থেকেই নতুন করে সৃষ্টি হবে মহাকালের একছত্র ভাবনা। সেই ভাবনা এগিয়ে চলবে, অমরত্বের দিকে। আর সৃষ্টি হবে কবিতা। হ্যাঁ, আমার কবিতার শব্দ আজ অজানা, বাজে। কাল সেই কবিতাই স্পষ্ট হবে। স্বচ্ছ ক্যানভাসে দেখতে পাবে ছবি। কারণ কবিতা তো সমাজের কথা অনেক আগেই বলে দ্যায়। তোমরা যে কথা কাল বলবে কবিতা তা আজ বলে দ্যায়। কবিতায় তাই ফুল আসে বারংবার। তাই তো আমার মতো কবির কাছে ফুলের মানে পাল্টেছে। আবার কারওর কাছে ফুল মানেই ভালবাসা। কবিতার ভালবাসাও তেমনই বড়োই আপেক্ষিক। কবিতার মানে আজ যারা না বুঝে এড়িয়ে যাচ্ছ, তাদের ফিরতে হবে আমার কবিতায়।