কবিতার আলোচনায় কোনও ধর্ম-কথা আলাদা করে বলছি না। তবে ইচ্ছে আছে কবি হিসেবে কিছু বলার। কী বলব! জানি না। এটুকু জানি কবিতার মধ্যে ঈশ্বর আছেন। প্রাণ দেবতা অবশ্যই কবিতার জন্ম দ্যায়। এই যে ওয়ালপেপারে অনেকে তার ভালবাসার ছবি দিয়ে রাখেন, তেমনি আমি সাধারণত গণেশের ছবি দিই। কারণ গণেশ বিঘ্ননাশক। কবিতায় প্রচুর বিঘ্ন আসে। তার থেকে মুক্তি চাই না, চাই বিঘ্ন অতিক্রম করতে। আমি যদি আমার কবিতা মানুষকে বোঝাতেই না পারি তবে সেই কবিতার সার্থকতা কোথায়? তাই প্রাণ দেবতার ঈশ্বরকে বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।
অনেকে নিজের প্রিয় জন, প্রিয় খাবারের ছবি দিয়ে থাকেন। অসুবিধা নেই। তবে সেটাও কবিতা। কবিতার নিজস্ব কিছু রীতি রয়েছে। সেই রীতিগুলো ভালবাসাই শুরু করে দ্যায়। সমাজবদ্ধ জীব। তাই প্রাণ দেবতার হদিশ কবিতা দ্যায়, আবার কবিতায় লুকিয়ে থাকে প্রাণ দেবতা। তাই কবি হলেও ঈশ্বর বিশ্বাসী। একসময় রব উঠেছিল, সমাজতান্ত্রিক কবি হলে, নেতা হলে ঈশ্বর বিশ্বাসী হবেন না। বা ঈশ্বর বিশ্বাসী নও। নাস্তিক। কিন্তু কবিতা নিজেই প্রচন্ডরকমের আস্থিক, অর্থাৎ আমার কোনও বিষয়ের উপর আস্থা রয়েছে, আমি তো সেই আস্থা থেকেই কবিতা লিখছি। এটি বুঝতে পারলেই নতুন করে জন্ম নেবে কবিতা। কবিতা দিক দর্শন আগামীর পাঠক দেবে। আমি চললাম প্রাণ দেবতা কী বলছেন তার খোঁজে...পাঠকও খুঁজে নিক নিজের পথ, কবিতায়, কবিতায় থাকুন সকলে...