আর যাইহোক আমার কবিতা পাল্টাতে পারেনি এই সন্ত্রাস মনোভাবকে। সন্ত্রাসবাদীদের সাথে আমার যোগ নেই। তবে কবিতার মাধ্যমে যোগ স্থাপন করতে চেয়েছিলাম। রোজই হাজারো প্রতিবাদী কবি তাই করেন। কবিতার মাধ্যমে যা কিছু ভুল তার বিরুদ্ধে লেখেন। ঠিকই। যে হত্যা বাংলাদেশে ঘটছে তার বিরুদ্ধে কবিতা প্রধান ঢাল হতেই পারে। কিন্তু বিবেকের কাছে কে পৌঁছাবে!! কে পৌঁছে দেবে আমাদের আর্ত চিৎকারের বাণী। খুব অস্থির লাগে। মনে হয় কবিতার উপত্যকায় মৃত আত্মার মতো শুয়ে রয়েছি। কবিতার বিজ্ঞান পারে এদের বোঝাতে। শান্তির শব্দ, কবিতার মাধ্যমে এদের কানে পৌঁছাবেই। আসলে প্রসাশনকে জাগতে হবে। প্রতিবাদ। প্রতিবাদ। এবং প্রতিবাদ। সকলকে নজর রাখতে হবে। কবিতাই একদিন এই জঙ্গীদের সামনে এনে ফেলবে। জঙ্গীরা কী চায়! কেন চায়! নিজেরাও জানে না।
এই যে আজকে পবিত্র ঈদ উদযাপনের মাঝে হামলা করতে চাইল, কি লাভ হল!! কি পেলো!! কিচ্ছু না। ভয় মানুষ পায় না। কবিতায় দেখেছি কত কষ্ট মানুষের জীবনে। মরলে মরবে একদিন মানুষ। কবিতা হবে। কবিতার জন্য কত ব্লগার তো মারা গেলেন। তাতে অসুবিধা নেই। এই সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের মারতে হবে। সন্ত্রাসকারীদের সন্ত্রাস হল কবিতা। কবিতার মাধ্যমে এতো প্রতিবাদ করতে হবে যে ওরা ভয় পাবেই। সিরিয়া, আইসিস এ সমস্ত নামগুলো কবিতাকে ভয় পাবে। পানি খেতে গেলে কবিতা দেখবে। কবিতায় নিজের সন্তান, নিজের মায়ের, নিজের প্রেমিকার মুখ দেখবে। কবিতা তাদের গায়ে উল্কি আঁকবে। তবেই তো সৃষ্টি হবে নতুন কবিতা। তবেই তো জন্ম নেবে শ্রেষ্ঠ মানুষের সভ্যতা। এখন তাই কবিতা লিখতে শুরু করুক মানুষ। একে অপরকে চুমু খাও। ভালবেসে নাও। কবিতার অস্ত্র ধরব। ধরেছি। তাই আমাদের মৃত্যু আসতে পারে। আসুক। তার আগে প্রতিবাদ করব। ভালবাসায়। কবিতায়। কবিতাই পারবে আইসিস নামক কু-বুদ্ধিকে শেষ করতে। কখনই মানুষ হত্যা করে ভয় দেখিয়ে দেশ, ধর্মের দখল পাওয়া যায় না। ঠান্ডা বাসার কবিগণ জেগে উঠুন। কুটনীতিক, আমলা, সৈন্য প্রধান জেগে উঠুন। আপনিও বলুন...বল বীর বল উন্নত তম শির...