কবিতার আলোচনা করতে চাইছো। অথচ কবিতা কি করে তৈরি হয় সেটাই বোঝ না। কবিতার ভালবাসা, প্রেম, নেশা সব থাকে। এই যে আমার লেখা তোমরা ব্যান্ড করে দাও তোমরা কি কিছুই বোঝ না। কবিতা তো সৃষ্টি হয় আঘাত থেকে। সেই আঘাত, সেই বিচ্যুতি বুঝতে গেলে চুড়ান্ত ভালবাসতে হবে। আত্মা উজাড় করে দিতে হবে। তবেই কবিতার আলোচনায় তোমরা প্রবেশ করবে। তোমরা কবিতার মুক্ত ভালবাসাকে ফেলে দাও। চুমু, ভালবাসা, সমস্ত চেতনা, অণুরণনকে নসাৎ করে দিতে চাও। তোমরা বোঝই না ভালবাসা আসলে কী? আর যেদিন ভালবাসা বুঝবে সেদিনই কবিতার খোঁজ পাবে।
এখন তোমরা যা করছ তা ভালবাসা নয় তোমাদের অহংয়ের প্রকাশ। অহং থেকে অ্যাডমিন। অ্যাডমিন থেকে ব্যান। কিন্তু একদিন বুঝবে কবিতার জিন তোমার শরীরে ছিলই না। যদি থাকত তাহলে কবিতাকে মুক্তি দিতে। আইন, নিয়মে বেঁধে রাখতে না।
তোমাদের শরীর কী সেটাই বুঝলে। টাকা বুঝলে, সম্মান বুঝলে, ভুল বানানটা বুঝলে না। কবিতার মানেটাও বুঝলে না। শুধু সংগঠন করলেই কবিতা হয় না। কবিতার জন্য চাই আলাদা চোখ, যা তোমার মন, তোমার ভালবাসার মন দিতে পারে। তোমরা আবার জ্ঞান শুনবে না, জ্ঞান দেবে। তাহলে কবিতার চেগুইভেরা তোমাদের কাছে আসবে কী করে! শেখ মুজিবুর রেহামানের জাগরনের কবিতা, রক্তাক্ত হওয়ার কষ্ট তোমরা বুঝবে কী করে!! তোমরা তো উপত্যকা দেখলেই না কবিতার। শুধুই অহংকার করলে...