কবি হলে নাকি প্রেমিক অথবা প্রেমিকা থাকতে হয়। না হলে কবিতা আসে না। কবিতার জন্য নেশা করতে হয়। কষ্ট আর সেই আবেশ না এলে নাকি কবিতা হয় না। কবিতা রোজ লিখতে হয়। তবে শব্দ ভান্ডারে টান ধরবে না। সবই বোঝহয় চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম। কবিতার নির্দিষ্ট কোনও সীমারেখা নেই। কবিতার ছন্দ তো সর্বত্র রয়েছে। তা তো সেই নাড়ির ধুকপুক ভ্রূণ থেকেই সত্য। কবিতার সাথে তাই চুমুর যৌন অঙ্গের থেকে প্রকৃতির উপমায় বেশি মনগ্রাহী হয়। নারীরা আবার প্রচন্ড শিক্ষিত। এখনকার সামাজিকতায় তাই সুরের কাব্যগাঁথায় লুকিয়ে রয়েছে নতুন এক ছন্দ। সকলে কবিতার কথা কবিতার মতো করে বুঝতে চায় না। তাই কবিতার উপত্যকায় পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। তীব্র আলোকছটা, তীব্র সৌন্দর্য নিক্ষেপ করে মণিতে। সেই মণির মধ্যে প্রাণ পুরুষের আকার হারিয়ে যায়। মনে পড়ে যায় কত অঙ্ক প্রতিটি অক্ষরের সাথে জড়িত। জীবনটা তো বাইনোমিয়াল কম্পিউটার ফেসবুক নয়। জীবনের আসল সম্ভাবনা তো লুকিয়ে থাকে অন্ধকারের গহ্বরে।
.
এই যে কিছুদিন ধরে আমি ভালবাসার চুমুগুলো সাজিয়ে সাজিয়ে লিখছি। নারীর নাম দিচ্ছি, তাতে কেউ খুশি। কেউ রাগ দেখায়। কিন্তু...ভালবাসতে চায় এই সব কবিতার রোম্যান্টিকতাকে। এই মজার হিসেবগুলো চার-চার-দুই, তিন-এক-পাঁচ-এক-এর মতো ফুটবলের নানা ছকের মতোই...স্পষ্ট। আসলে পুরাণ মতে একুশ রকমের নারী রয়েছে, তবু নারীর একটি নরম মন থাকে। আর কবিতার আবেদন সেই নরম স্থানেই অবস্থান করে। তাই কোলেস্ট্রলের সীমারেখায় দাঁড়িয়ে যে যতই বলুক ডিমের কুসুম খাবই, বিরিয়ানি খাবই, ভয় কিন্তু সে পায়। এই ভয়টা কবিতার উপত্যকায় আছে বোধহয়। এই ভয়ে ভয়ে কত নারী স্পষ্ট ভাবে ভালবাসার কথা বলতেই পারে না। অনেক নারী আবার পরকীয়া করছি বলে রাগ করে। তবে শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠার স্বাধীনতা বা ইচ্ছার নতুন দিক, দিকে দিগন্তের ছড়িয়ে যায়।
.
সময়টা বর্ষার। শহরের সব পাম্প নাকি রেডি। বৃষ্টি হলেই ময়লা জল শোষণ করে খালে ফেলবে। মজা হল কবিতাও তো তৈরি থাকে। কিন্তু কবিতা তো বুঝতেই পারে না কখন মৌসুমী বায়ু আসবে আর কখন মরুভূমির দহন। কবিতাটি লিখে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিয়ে অনেকে সন্তুষ্ট। কিন্তু পাঠক কতটা নিল, কেন নিল, কখন নিল...এই সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গবেষণা সকলে করেন না। করলে হয়তো ফেবু-র সাহিত্য গ্রুপগুলোকেই কবিতার উপত্যকা বলতে পারতাম। এই যে জুডিথ নারী হয়েও যে সেবা ধর্মের পথ বেছে নিয়ে আজ আফগানিস্তানে অপহৃত, এই যে অন্ধ কিছু নারী-পুরুষ এভারেস্টের চূড়া ছুঁতে চায়, তা আমার দিন পাল্টে দেয়। রঙগুলো কখন যে পাল্টায় দিনের, রাতের বুঝি না। অনেকে আবার তিন, প্রাক্তন দেখে পাগলের মতো করতে থাকে। আসলে শান্তির ভালবাসাগুলো তো নিজের কাছে। এই ব্যক্তিগত কথাগুলো তো কবিতা নয়, সেখানে প্রতিটা কথাই এক একটা জীবন।
জুডিথদের জন্য বদলে যাচ্ছে এই সন্ধ্যা গোধূলির চুড়ান্ত
সব আলোগুলো, কারণ বৃষ্টি গন্ধরা গুছিয়ে নিয়েছে ছাতা
কবিতা এখন অপহরণ।