সাপের চলনের মতো কবিতারও নিজস্ব চলন আছে। যেমন গ্রহ নক্ষত্রের নির্দিষ্ট চলন আছে। গতি। গতিময়তার পিছনে যেমন রসায়ন আছে তেমন কবিতার ছন্দের পিছনেও রসায়ন কাজ করে। এই গতিশক্তির স্থিরতায় কবিতা আসতে পারে। মানে ধরুন আপনি প্রেমিক, প্রেম করেন। খুব দুঃখ বা আনন্দ পেলেন। মনের অপটিমাম স্তরে পৌঁছালেন। কবিতা আসবেই। কেউ সে কবিতা লেখে, কেউ বা অন্যের কবিতা ধার করে, কেউ গান গেয়ে ওঠে।
.
এই গানের থেকে মনে এলো যে আজ জাতীয় বেস্ট ফ্রেন্ড ডে-তে এক রেডিও সঞ্চালক বললেন গান তার প্রিয় বন্ধু। তা মন্দ নয়। কবিতার ছন্দ যদি প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠতে পারে, তাহলে কবিতা খোঁজার বিষয়টা, মানে উপত্যকাময় কবিতার ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পায়। কবিতা পাক সকলের এই আশা নিয়ে চলার পথে নতুন সংযোজন কলকাতায় কবিতার একাডেমি হতে চলেছে। এই একাডেমি হলে খুব ভাল হবে। আমরা অনেক কিছু শিখব। আমরা জানব কবিতার অলি-গলি। ভাললাগার পরিসর আরও বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পাবে সাংস্কৃতিক সমাজের অণুরণন। আসলে আমরা কাজ করতে করতে করতে এতটাই একাকিত্বে চলে যাই যে তারপর আমেরিকার মৈনাকের মতো মেধাবী ছাত্রটি বন্দুক হাতে তুলে নেয়। আমরা বাঁধাগুলো টপকাতেই ভুলে যাই। এই কবিতাই তো ড্রিবলিংগুলো করতে শেখায়। এই কবিতা শেখায় নতুন করে উঠে দাঁড়াতে। বাউন্সার তো জীবনে আসবেই এই কবিতাই সেখানে গতিকে গতিময় করে দেবে। নিজেকে বাঁচাতে চিন মিউজিক শুনতে গেলেও কসরত করতে হয়।
.
এই পথ ধরেই আমি কবিতার কাছে পৌঁছাবো। আমার গলাটা ভাল না। তাই আবৃত্তি করলেও বেস কম থাকায় আবৃত্তিকার হতে পারব না। তবু আমি কবিতা বলব ভাবছি। না টাকার জন্য নয়, মনে আনন্দের জন্য ... আর শেষে এই আবৃত্তি শুনেই হয়তো আপনি আমায় দেবেন কবিতা উপত্যকার খোঁজ। বলবেন এই যে মহাসমুদ্র দেখতে পাচ্ছো...এর গর্জন শুনেছো! ঐ গর্জনের মধ্যে ছন্দ রয়েছে। সেই ছন্দের রত্নাগহ্বরে রয়েছে কবিতার উপত্যকা। তাই প্লাস্টিক দূষণ কমিয়ে ফেলো...না হলে সভ্যতার কবিতারা মারা যাবে। আন্তর্জাতিক মহাসাগর দিবসে তাই বলি শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ না করে পরিবেশকে বাঁচাতে একটু কবিতা দূষণ করুন। মনের উপত্যকায় কবিতা জাগুক। এই হিংসে, কিডনি পাঁচার বন্ধ হোক। হোক কলরবের মতো বলুন হোক কবিতা, হোক কবিতা, হোক কবিতা...
.
কবিতা আমায় পাগল করেনি, দিয়েছে অক্সিপ্রাণ
কবিতা জন্য করতে পারি এক জন্ম উদাত্ত স্নান...
~~~~~~~