কবিতা নিয়ে লিখতে বসলে, সব ভুলে যেতে ইচ্ছে করে। দেখুন লিখে পেট চলে না, পড়েও পেট চলে না, তবু কবিতা তো লিখতেই হয়। কবিতার তাগিদটা আসে কোথা থেকে। জন্ম থেকেই কবিতা কেউ পড়তে বসিনি। প্রেমটা এসেছে, এমনিতেই। এতোটা কিউট তো কবিতা নয়। কবিতা তো বুঝতে হয়। অনুভব করতে হয়। প্রশ্ন করতে হয়। বাস্তব দেখতে হয় কবিতায়। বা কবিতাই বাস্তব দেখে.. আবার। কবিতার কবি ভাব, কবিতার ভাবনা ছন্দে সীমাবদ্ধ থাকলে এতকিছু লেখার দরকার থাকত না। একটা সময়, ছোট বেলায় দেখেছি যারা পুরুষ হয়েও মেয়েলি, কবিতা লিখতেন... কৃষ্ণচন্দ্রের রাজদরবারের কবির মতোই। সে একটা কাল। কবিতা তারপর আমিও পড়েছি... রবি পেরিয়ে জীবনানন্দ, সুনীল, শক্তি, জয়, শ্রীজাত পেরিয়েছি অনেকটা মহাদেশ। মহাকালও বললে ভুল হয় না। কবিতার রকমফের আজ আলোচ্য নয়। প্রধান বিষয় ভাব থেকে ভাবনা। ভাব কি কবিতার থাকে! খুব জটিল। রোজের দৌড়ানোর জীবনে ভাব কি কবিতা লিখতে সাহায্য করে! ডিবেট প্রতিযোগীতায় হাজার প্রশ্ন উঠতেই পারে। আমার কথা তা নয়। ভাব আসলে ভাবনা বা কবিতার জন্ম কি দেয়। নাকি কবিতা ভিতরে ভাষার মতোই বিরাজমান, আদিকাল থেকে, জন্মের পূর্বেই কি ছন্দ নেই, মাতৃগর্ভে। এই যেমন ধরুন আমরা স্বাধীনতা দেখিনি, তবু সেটি তো আমাদের বিপ্লবের মাতৃগর্ভ। কবিতার আতুড় ঘরে কবিগুরু থাকেন। থাকবেনও চিরটাকাল। কিন্তু বড় হয়ে যে ভাব আমরা পাই, সকল ভাষাতেই পায় হয়তো...সাহিত্য কেন তা নিয়ে গবেষণা করে না।
শুধু কবিতার জন্য সাহিত্যে নোবেল রবি ঠাকুর, পাবলো নেরুদা, খুবই বিরল। তবু কবিতা তো হাল ছাড়ে না। আর বিশ্বাস না করলেও উত্তর আধুনিক কবিতার রকমফের বাংলা গানকে প্রভাবিত করছে। সুরও নতুন দিশা খুঁজছে। ভাব টাই তাহলে চালিত করছে কবিতার দিকে। কেউ আগুনে দগ্ধ হতে চায়। কবিতার মতোই শুদ্ধ হতে চায়। ভাব আসলে মন্দির-মসজিদ দর্শন করার তাগিদ। আর সাধনাই হল কবিতা লেখা। যেখানে কবিতার জন্য, মানবতার জন্যই কবিতা। ধর্মবোধ সেখানে অচল। ভাব থেকেই হোক সকলের যাত্রা কবিতার দিকে। আর্কাইভ হোক আরও শত কবির লেখা এই ওয়েবসাইটেও। যেন একশ বছর পরেও ভাষার আদল পাল্টালেও এই বাংলা-কবিতা ডট কম সাবস্ক্রাইব করে লোকে পড়তে থাকে।