দুই বন্ধুর দেখা হল, রবি ঠাকুর ও আইনস্টাইন, দার্জিলিং
দু’জনে দশম শ্রেণি পাস করেননি। তবু বিশ্বখ্যাত অগ্রজ।
একে অপরের সাথে সাহিত্য ও পদার্থবিদ্যায় মিশে গেল
মহাবিশ্বের মহাকাশে মহাকালো মাঝে এভাবেই অণু-পরমাণু
দৈনন্দিন একাদশ শ্রেণির পদার্থবিদ্যায় গতিবেগে সূত্রপাত করল।
মাধ্যমিক পর্যন্ত বিজ্ঞানের সব ধারণা দূরে সরিয়ে এলো,
এলোচুলে
আগুনের পরশমণি পেল তার পরিমিত পথে মাপক সূচক গণিত।
কী ভাবে মৃত্যুরা কবিতাকে স্পর্শ করে তা ত্রিকোণমিতির
আবহে
বোঝাল পীথাগোরাসের সরণ ত্বরণ তত্ত্ব। গতিবেগের
মনকেমনিয়া
আমার মুক্তি আলোয় আলোয় বলতেই কবিতার কার্যকারণ
ঠোঁটের সম্বোহনী মাধ্যাকর্ষণকে উপলব্ধি করল।
তাপশক্তির সেই
বিছানা পেরিয়ে কিভাবে প্রকৃতি আজও ঠান্ডা রেখেছে
পৃথিবীকে
তা বুঝতে এস্কেপ ভেলোসিটি অতিক্রম করতে হয় না,
এবয়সে।
আসুন আমরা একটু E=mc2 দিকে তাকাই। সমস্ত শক্তির উৎস
ভাষা। সেই ভাষাতেই মা ডেকেছিলাম। সেই মাতৃভাষা যদি ভর হয়
তাহলে তার অনুভূতি প্রবাহ আলোর দ্বিগুণ গতিবেগের চেয়েও
বেশি।
এইটুকু সরল সহজ ভাবে বুঝতেই আমার আরও দুটো জন্ম
লাগবে...
হয়তো তখন মানুষ রবি আইনস্টাইন পড়বে না একাদশ শ্রেণিতে
কিন্তু আমি প্রাইভেট পড়াব, আর জানলায় দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকব
কবিতার যে অনুসিদ্ধান্তে আমি বিবেক গানে মুক্তি পথযাত্রীর
চিহ্ন
সেই স্বর কী আমার গলায় অণুরণন ঘটায়। আমি কী আবৃত্তি করি
আমার মনকেমনিয়ার জন্য... করলে সে নিশ্চয়ই দাঁড়িয়ে থাকবে
আজ যখন আমি সাইকেল চালিয়ে পড়াতে যাব, ঐ কী যেন ছিল
হ্যাঁ হ্যাঁ....ভর....ভরের নিত্যতা সূত্র, না না প্রেমের নিত্যতা
সূত্র...