অন্ধকার ও আলোক সন্ধিক্ষণের গণনা পূর্বেই হয়েছে
প্রভাবের চন্দ্র সূর্যের জোয়ার-ভাটা তোমার আঁচলে
ধুয়ে যাওয়া সিঁদুর সবটুকু হিসেব দিতে পারেনি – পক্ষীকন্যা।


ঘোড়ায় চেপে তুমি যে দেশেই যাও, বিশ্বাস তোমার কতটা
নিজের জানো না। কারণ তোমার অতলান্ত মনের সমুদ্রে
মেদ জমেছে একাকিত্বের।
তোমার চোখে বিষণ্ণতা। তুমি আটকে যাচ্ছো একাকিত্বে।
ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখতে চাইছো পুরোনো প্রেম, প্রথম পুরুষের একাত্মতা।


অন্যদিকে পুরুষ তার ঘরসংসার গুছিয়ে নিচ্ছে উড়তে থাকা সাম্রাজ্যে।
এমনই হয়। এমনটাই হওয়ার ছিল। স্নিগ্ধতার সৃজনে আরও চাই
নাম-খ্যাতি-যশ। শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পুরুষ। বুধ ও আদিত্যের অমিল,
সে জানত না ঐ নারীর চোখের জলে সবটাই ধুয়েছে, মোহে
গণনা করাই ছিল উড়ন্ত সাম্রাজ্যের ভগ্নস্তূপ।


যেদিন সূর্য ঢুবে যাবে পুরুষ, সেদিন সময়ের গণনায় পক্ষীকন্যা
সমুদ্রে দেখবে সূর্যাস্ত।
আসলে তোমরা ধ্বনাত্মক বিভীষিকা খুঁজেছ, আমি ঋণাত্মক চিরশান্তি
মৃত্যুর গণনায় সবচেয়ে কঠিন ও বাস্তব।


যে পেরেছে সেই অমর হয়েছে - মৃত্যুর পরে...