অবোধ্য সবজান্তা না হয়েও বুঝি ক্লোরোফিল কথা
হাসি মস্করা জীবন হলে, তোমরাও তো নীরবতা।
ঐ মন না ছোঁওয়া হরেকরকমের বিজ্ঞানের টার্ম
ছড়িয়ে দেয় পাঠক মনে নতুনত্বে নেশার জার্ম।
স্টেশন পেরিয়ে আসি দেখা করতে কবিতাপাঠ
ভাললাগে বলে লিখছি, বলে নেশাখোর গাম্বাট...
লিখে চলে সিরোসিস হওয়া ভাষার চোদ্দগুষ্টি
আসলে জীবনদর্শনে অশান্তি ব্যমোটাই অপুষ্টি।
লাইক পাবেই সেই ফালতু প্রাণী অন্ধকারযুগে
বাঙালি তো অ্যামিবাজীবী, ক্লিওপেট্রা হুজুগে।
বাসে উঠে লখিন্দর ও বেহুলার চোখ ইশারা
বেহুলা নামতে গেলে বলে লখ্খি দেবে ভাড়া...
ইস্তেহারে প্রেম জেগেছে ধমনীহীন এমার্জেন্সি
নাগরিক জীবনে নেই সাহিত্যপ্রেমের ভ্যাকেন্সি।
উদয়অস্ত প্রকৃতি দেবে, আমরা কাটব যে গাছ
গরম যতই বাড়ুক, হিমোগ্লোবিন চায় ভাত-মাছ।
ঘুগনিটা আরেকটু দাও, রাতে খাব একটু কম
দাড়ি যেমনই হোক, পিটিউটারীতে কৃমি ভ্রম...
নাক খুঁটে গায়ে লাগিয়ে বলতে পারব না সরি
কবিও জানে আমার কবিতা নয় – আহামরি...


কবিতা তো যাপন, যাপিত সময়ে প্রণম্য কবি
ষাটোর্দ্ধো সেই নবজাগরণে একেছিল যে ছবি
আমরা তো খেলা করি ভাষার শব্দ নিয়ে রোজ
চার দিনে কাব্যগ্রন্থ লিখি, চাই গিনিজ বুকে খোঁজ
তবে,
দেশ নামক মাপকাঁঠি একদিন স্থান দেবে ঠিক
মহাভোজের উকুনেরও লাগে কী স্লিম টুথপিক...