রোজের দুঃখ উড়ে গেল মাছরাঙার ডানায়
কৃষ্ণ প্রেমে রাধা জাগছে কানায় কানায়।
ফিরছে খোলা চুল, রাঙানো মুখ ও হাসি
ও হাসিময় নীলে মিশলেই হই কাছাকাছি।
নখ দিয়ে আঁচড়ে দেয়, বলে দেয় ইশারায়
পলাশ, শিমুল উদযাপন আলোকবর্ষে ভাসায়।
বারাণসীতে হোলি আর রবি ঠাকুরের দোল
কেয়ামাত ইন্তেজার কী ইয়ে সারমিলি বোল...
ফিরছে কোকিল, কাকের বাসায় ডিম রেখে
যার কাল বিয়ে সেও রয়েছে দিবারাত্র জেগে।
সব পুরুষ কৃষ্ণ হয়ে প্রেম আনে, দুর্যোধন নয়
এতো বস্ত্র কে ধার দিয়েছিল দ্রৌপদী! সংশয়।
আমি তো রক্ত রঙীন ঋতুস্রাবকে পবিত্র মানি
ধর্ম হোক মনুষ্যত্ব, রঙিন হোক চিন্তা-অন্তর্যামী।
প্রতিটি রাধাকে বাঁচতে দাও, রঙিন করো মন
প্রতিটি কৃষ্ণ বুঝুক এক জনই তার প্রিয়জন।
চাই না ষষ্ঠ ঘরে দৃষ্টি থাকলেই ডিভোর্স সাদা
একজনকে ভালবাসতে জীবন পেরিয়ে রাধা।
এক রাধাকে নিয়ে সন্তুষ্ট হতে শেখো টাকা
দেখাবা পে না যাও – সবটুকুই হবে ফাঁকা।
একটা ভালবাসা, একটা বেঁচে থাকা – রঙ
বুঝুক মলের সামনে দাঁড়ানো আজকের বং।
হাজার মেয়েকে লাইন মেরে লাভ নেই বস
নিজ সন্তানের জন্য বাঁচিয়ে রাখো রঙ্গ-রস।
যোগ্য সন্ততি চাই, আর সমাজকে রঙিন করা
ভালবাসার মরণ চাই, প্রকৃতি অনন্ত এক ধরা।
***
বুঝতে শেখো ডিজে গান সব নয়, যুগটা অন্য
শুনছিস পাগলি, আমার চাই বসন্তকরবীর লাবণ্য...
রাঙিয়ে দে পুরুষ জাতিকে, রাঙিয়ে দে মন
ভালবাসা বাঁচুক আকাশে-বাতাসে প্রতিক্ষণ
ফিরে দেখ, তোর জন্য নয়, তোতে গেছি মিশে
কাছে আয় ভরিয়ে দেব অনন্ত আদুরে আশীষে...