রোজ কবিতা লিখি পলাশে, শিমুলে। আজ জীবন লিখব।
ঐ তুমি যখন তোমার প্রেমিকাকে বা তোমার প্রেমিক তোমায়
জোর করে মাখিয়ে দিল রঙ মেশানো আবির, ঠিক তখনই
আমার পকেটে যেমন দশটাকা লাভ এলো, মনটাও ভরে গেল।
আমার চোখের বৃষ্টিরা আমার জীবন হয়ে উঠল সানগ্লাসের হাসিতে...
তোমরা চলে যেতেই দেখি ছোট ছেলে দুটো ধুপকাঁঠি বিক্রি করতে করতে
আমার রঙের ব্যাগগুলো দেখছে। ওদের তো ডেনরাইট, তবু খুশি।
ঠেলাওয়ালা বা মুটে বয়, সেই সব দিন আনা-খাওয়ারা মনে করছে,
হ্যাঁ গো, বাড়ির কথায়, ছেলে-মেয়ের মুখ, স্ত্রীয়ের মুখ...
রঙ এমনই এক জিনিস।
অথচ দেশ রোজ লাল রঙে রক্তাক্ত হয়। রোজই হলি।
কখনও ধর্ষণ, কখনও জঙ্গি হামলা, কখনও রাজনৈতিকতা-ধর্মান্ধতা।
রঙ আমার জীবনে এতো দুর্ঘটনা দিল কেন জানি না
আমার ট্রেন থেকে পরে হাত কেটে যাওয়ার পর মন এসেছিল।
কেঁদেওছিল। তারপর বাড়ির লোক পঙ্গু বলায় চলে গেল।
মন, আমি বসে আছি। পঙ্গু এখন রং সাজিয়ে বিক্রি করে।
কেউ ভালবেসে পাঁচ দশটাকা বেশিও দেয়। তুমি আর আসো না।
শুনেছি দুর্গাপুরে ভাল বিয়ে হয়েছে। শুনেছি সন্তান হয়েছে।
আচ্ছা তুমি কী আজও কপালে সিঁদুর দাও। নাকি সিঁদুরের প্রতিজ্ঞা
ঐ মন্দিরে যখন তোমার সিঁথি রাঙিয়েছিলাম, বৃষ্টি টিপ টিপ করে ভেজালো
সেই জীবনটা মিথ, মায়াবি!
মন আমি রঙের পসরা সাজিয়ে বসেছি। এই বসন্তে না পারো
ষাট পেরিয়ে গেলে একবার এসো। আমি সেদিনও তোমার অপেক্ষায় থাকব।
***
বলছি তো গড়িয়াহাট মোড়ে দাড়িয়ে তোমায় চুমুটা খাবই
হ্যাঁ রঙিন চুমু...ভালবাসার