জীবনে কিছু হতাশা এসে যায়। ভালোমন্দগুলো মিলেমিশে যায়। চলতে থাকে হঠাৎ আঘাতের স্মৃতি। কবিতার জন্ম হয়। মেঘ করলে বৃষ্টি আসে। তবে নাও আসতে পারে। আর বজ্রগর্ভ মেঘে ভেসে যায় নদী...কবিতাও তাই। অনেকের মধ্যে কবিতা থাকে। যদিও সে কবিতারা প্রকাশিত হয় না।
আবার অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রকাশ করে তাদের সমস্ত কবিতা। কবিতা তো যাপিত জীবনের অমৃত বিষ। কেউ তা বোঝে, কেউ তা খোঁজে। অনেকে কবিতার এই এসেন্স নিতে জানে, আবার অনেকেই নিন্দুক। বাঙালি জাতি এই করেই একটা স্থানে এসেছে। কিছু পাগল প্রেমিক ভাষাটা ভালোবাসে, সমাজকেও বোঝে কিন্তু কবিতা না বুঝে উবাচ কথনে মত্ত। কবিতা তো সকলের মননের জন্য নয়। কবিতার নির্দিষ্ট পথ রয়েছে। আমাদের সকলকে সেই পথের প্রাণশক্তির কাছে পৌঁছাতে হবে।
কবিতা ভয়শূন্য....উচ্চ যেথা শির...রবি ঠাকুরে ফিরে গেলে বোঝা যায় কবিতার চেতনার অণুপ্রাস অনন্য এক ভাবনা। কবিতা এগিয়ে চলে। কবিতা পিছিয়ে যায়। কবিতা স্নিগ্ধতা। কবিতা বেঁচে থাকা। প্রাণশক্তিতে এই ভয়হীন মানবতা চাই। মন, অহং, অহংকারের ঊর্দ্ধে এক কবিতা রয়েছে। সেই সরলতায় প্রবেশ করতে হবে। কবিতার প্রাণশক্তি তবেই তো কুন্ডলিনী চক্র থেকে মুক্তি পাবে। তৈরি হবে নতুন উপত্যকা। কবিতার উপত্যকা। অবুঝরা না-কবিতার পথ ছেড়ে কবিতায় ফিরবে। উত্তর আধুনিক মনষ্ক হবে। এটাই আশা কবিতার সকল ছাত্রের কাছে। আমিও তো সেই কবিতাই শিখতে চাই।