আমি তো কিছু চাই না, শুধু কবিতা ছাড়া... তবু কবিতা আমার কাছে আসে না সেই ভাবে। এই উপলব্ধি নতুন করে রোজ লিখতে শেখায়। আমি তো মানুষ হতে পারিনি। আপনি কি পেরেছেন। যদি পারতেন তাহলে একাকিত্বের আধুনিকতায় কবিতা বুঝতেন। কবিতা আসত। কবিতাই আপনাকে ভালোবাসত। কবিতা তো কবিতার জন্য লেখা হয়। কবিতা তো আলাদা বিষয় নয়। তবু কবিতার ভিতরের অর্থ পাঠক বোঝে না। হয় তো আমার ভাগ্য খারাপ, আমি পারি না। আসলে কবিতা তার নিজের প্রয়োজনে কিছু শব্দ বেছে নেয়...
সেই সব শব্দ কবিতার পথ ধরে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। আমি যে এত লিখি অনেকে আনন্দ পায়, অনেকে ঈর্ষা করে। দুই প্রভাব আমি প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু কবিতা বোঝেন কতজন! কতজন প্রাণশক্তির কবিতাকে নিয়ে বাঁচতে চায়। কবিতা যে তার নিজস্ব ধরন ধারণ নিয়ে বেঁচে। সেখানে মানুষের শত্রুতার কোনও স্থান নেই। প্রাণশক্তির মতোই কবিতাও মূর্ত থেকে বিমূর্ত। মন, অহং, বুদ্ধি যেখানে শূন্য সেখানেই তো প্রাণশক্তির মুক্তি। এই ভাবনা নিয়ে জীবন যাপন করতে পারলে তবেই স্বার্থকতা। এই যে আমরা ব্যান হয়ে যাই সেটাও তো শূন্যে পরিণত হওয়া। কালো হয়ে যাওয়া। তবু তো কবিতা আসতে থাকে। যখন আমি নেই তখনও কবিতা, যখন আছি তখনও কবিতা।
কবিতার এই প্রাণশক্তি অমর। কবিতা তো মানুষেরও আগে থেকে প্রকৃতিতে। কবিতাই তো মানুষের আত্মার মুক্তির পথ। হয়তো ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরে এভাবেই আসল কবিতারা লুকিয়ে। একদিন প্রাণশক্তি নিয়ে সেই সব কবিতারা প্রকাশিত হবে। আমার কথা মনে রাখতে হবে না। কবিতাকে মনে রাখুন, দেখবেন মুক্তি পাবেন। কবিতার পথ ধরেই। চরৈবেতি।