কবিতার সেই কথাতেই এসে আটকে যেতে হয়। যেখান থেকে শুরু। আত্মবোধন। প্রাণশক্তির আত্মবোধন দরকার। সেই চেতনাই আরও কয়েক শো বছর লিখতে সাহায্য করবে। বাংলা ভাষা মৃত নয়, অনেক সংগ্রহণ করেছে তাই কবিতার হাত ধরে এগিয়ে চলতে হবে। কবিতা তো আলাদা করে বলার বিষয়। কবিতা তো সত্যই আলাদা। ভাষা কতটা এগিয়েছে তা তার কবিতা বলে দেয়। উত্তর আধুনিক যুগে বিমূর্ততা অনেক বেশি প্রকট। এই বিমূর্ততার মধ্য দিয়ে প্রাচীন সাম্রাজ্য থেকে বর্তমান সকলকেই গল্পকথা বলা যায়।
কবিতায় গল্পকথা তো সকলে বলতে পারে না, কিছু কবি পারেন। বাকিরা লেখেন তবে তার থেকে বেশি নিজের ফ্যান জোগাড় করে। কবিতা তো এসব বোঝে না। ভাল কবিতা আর খারাপ কবিতা। সে দল, মন্ত্রণা বোঝে না। কবিতা তার নিজের পথ ধরে এগিয়ে চলে। কবিতা রাজনৈতিক হতে পারে, তবে কবিতা নিজে কখনই রাজনীতি করে না। এখন মজাটা হল সকলে এগুলো না বুঝে মন্তব্য করেন। বাঙালিরা তো ঝগড়া করতে জানে প্রবলভাবে। মানুষরাই বড় হিংসা প্রকাশ করে। যতই শান্তির কথা বলি না কেন...হিংসা প্রকাশ পায়। কেন পায় তা জানা নেই...
কবিতা এসবের ঊর্দ্বে। সে তার নিজের পথে প্রাণশক্তির খোঁজে সন্ন্যাসী রাজার মতো এগিয়ে চলে। রাজা ছিলেন...তবে প্রজার কথা ভাবতেন। ব্যাভিচারী ছিলেন, তবে জন দরদী। হতে পারে কিছু যৌন কথা লুকিয়ে থাকে কবিতায় কিন্তু তা সে সময়ের প্রয়োজনে লিখেছে। তাতে সমাজকেই শিখিয়ে দিতে চেয়েছেন...নিজেও শিখেছেন। তাই রাজা মৃত্যু থেকে ফিরে সন্ন্যাসী হয়েছেন। তার তো সাম্রাজ্য চাই না। তার চাই কবিতার প্রাণশক্তিতে শান্তি। মানুষ এসব বোঝে না। মানুষ নিজের মতো এগিয়ে চলে। আর আমরা ভুল ঠিক বুঝতে পারি না।
তেমনি কবিতাও যে পথের পথিক, অনেকে বোঝেন না...তাই চলতে থাকে নানা মত পার্থক্য। একদিন উপলব্ধি করবেন। সেদিন কবিতা তার নিজের দেশ ও উপত্যকা পাবে। কবিতার প্রাণশক্তি তো লুকিয়ে কবিতাতেই। কবিতার বীজ সেখানে রোপিত। রাজা, উজীর...মন্ত্রী সকলে বুঝেছিল একদিন সন্ন্যাসী রাজার ভাবনা। কিন্তু তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে।