ভাবনারা আস্তে আস্তে বাসা করছে। আমরা সেই ভাবনা ধরে এগিয়ে চলেছি কবিতার পথে। রোজ ভাবছি। রোজ ভাবছি না। এভাবেই এগিয়ে চলছে সমগ্র চেতনা। মুক্তি পাচ্ছে মুক্তো চিন্তা। কবিতার প্রাণশক্তি ফিরছে। কবিতা জেগে উঠছে। জীবনের প্রতিটা কাজে কবিতা।
তোমরা পাগল ভাবতেই পারো। কবিতা আবার জেগে ওঠে নাকি! সে তো কবিতাই। না। জীবনের কবিতা প্রতিটি যুগে জেগে ওঠে। সে তার পথ বেছে নেয়। সহজ সরল ভাবে বলতে চায় কবিতার কথা। সমগ্র বিশ্ব দেখতে পায়, না দেখা কথাদের।
শব্দগুলো নিজেদের বুনন খুঁজে নেয়। সবই তো শরীরের মধ্যে কুন্ডলী শক্তিতে সঞ্চিত। সেগুলোই তো রূপ পায়। অরূপে পৌঁছানোর রূপ পায়। এগিয়ে চলে সমাজ। এগিয়ে চলে মানুষ। কবিতা পায় তার চলার পথ। সকলে তা বুঝবে না। তাহলে পৃথিবীর নামটাই কবিতা হয়ে যেত।
সকলে আসলে একরকম ভাবে চলতে চায়। কবিতার মধ্যে জীবনকে খুঁজতে চায় না। জীবনটাকে কবিতা ভাবতে চায় না। প্রতিটা দুঃখ কষ্ট তো আসলে কবিতা। কবিতার থেকে মুক্তি মানে আত্মার বিলীনতা। আত্মা তো এতো সহজে বিলীন হয় না। কবিতা অনেক বড়। কবিতা বিশ্বজনীন। কবিতার কত গ্রহ রয়েছে। এখনও মানুষের টেলিস্কোপে আমরা আর তা খুঁজে পাই না। কবিতা সত্যই অনেক শুদ্ধ এক চেতনা। প্রাণশক্তি অনেক বড়। কবিতার পথ ধরেই তা পাওয়া যায়।