কবিতার সাথে ঋতুর বিশেষ যোগাযোগ। যে বোঝে সে বোঝে। এটা নিয়ে তর্ক করে লাভ নেই। তবে এটুকু বলা যায় কবিতার নিজস্ব সব পথ রয়েছে। সেই পথ ধরে তারা এগিয়ে চলে। কবিতা তাই ঋতু আবহাওয়াকে মেনে নেয়। অনন্ত এক চেতনার প্রকাশ। কবিতা তার নিজস্ব পথ বেছে নেয়। কবিতার এই নিজস্ব পথে ঋতু বিশেষ ও বিশাল আয়োজনের পথনির্দেশ দেয়। কবিতার ভিতরে লুকিয়ে থাকা চেতনার হাত ধরেই অনন্ত এক ভাবনা উজান স্রোতে ভেসে চলে। কবিতা তাই ঋতুর সাথে মিলেমিশে যায়। কবিতা তাই নতুন দিনের এক চেতনা। কবিতা অনন্ত পথের দিশা। কবিতা স্নিগ্ধ এক সুবাস।
এই সুবাস ঋতু চিনিয়ে দেয়। কবিতাও সেই ঋতুতে প্রভাবিত হয়। ঋতু এমনই যে শ্রমকে সে দাম দেবেই। সময়ের সাথে অনেক পরে হয়তো এই ভাবনারা দেখা দেবে। ঋতু তার নিজস্ব গতিতে কবিতাকে মূর্ত বিমূর্ত করে দেয়। ঋতু তো ছটা নয়, প্রেমকেও ঋতু বলব। যখন যেমন প্রেম আসে ঋতু তেমন পরিবর্তিত হয়। পরিমার্জিত হয়। কবিতাও তাই নদীর পথের মতো চলে। জোয়ার ভাটা, গতিপথ সর্পিল ও ভাঙন। কবিতা তাই নিজস্ব ধারা বজায় রাখে।
সেই স্বকীয়তা অনেকে মেনে নেয় না। অনেকে গাল মন্দ করে। অনেকে কিছুই করে না। তবে কবিতা এসব শোনে। সে নিজেকে সময়ের সাথে মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে চলে। তবে প্রভাব থাকে। ঋতুর নিজস্ব মেহফিল রয়েছে। সেই ঋতু ঘরানা নিয়েই কবিতা তার মুখ ও আলোকে বেছে নেয়। কবিতা তার নিজস্ব চেতনায় এগিয়ে চলে। ভাবনার গলিপথ ধরে চলতে থাকে এই শপথ। এই ভাবনার অভিসার। ঋতু থাকে কবি পাল্টে যায়। কবিতাও রং বদলে নতুন হয়। অথবা পুরাতনকে নতুনে সাজায়।