যেমনটা হয় শিরদাঁড়া সোজা করতে না পারলে। কবিতারা অনেক কিছু বলে। কবিরা পারে না। আবার উল্টোটাও ঘটে, কবিতার ভূত সব বলে দেয় কবিতায়..লেখায়, জীবনের চেতনায়। কবিকে দূরদর্শী হতে হবে। বড় সাহিত্যিক দূরের সবটা দেখতে পায়। ছোটরা খুব একটা দেখতে পায় না। এটাই মজা। সকলে সেই মজাটাই বুঝতে পারে না। কবিতার ভূত নিজের মতো করে সেই সব কাজ করিয়ে নেয়।
কবিতার ভূত যে শ্লীল অশ্লীল বোঝে না। তাই সাহিত্যের নতুন দিশা দেখতে পেলে সবটুকু আপন করে নেয়। এটাই চেতনা। এটাই প্রেরণা। এটাই লেখার রসদ। নিন্দুকরা বলতে থাকে। বাণিজ্য কথা। নাম হয়ে যাওয়ার কথা। আবার কেউ কিছু নয়, তবু বলেই চলে। কেন বলে, হিংসে। বাঙালির হিংসে। এটাই তো আছে। বাংলায় আড্ডা, হিংসে, পরনিন্দা, পরচর্চা।
মজা লাগে, এই ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলতে থাকে সবটুকু। ভাবনা কবিতার নেই, কবিতার ভূতের হয়। কবিতার ভূত ভাবে ভবিষ্যতের কথা বলাটাই কী কবিতা, নাকি বর্তমান। নাকি যা হচ্ছে সমাজে। ধর্ম, ধর্ষণ, শোষণ। মজার রাজ্যে পৃথিবী কবিতাময় হয়ে ওঠে। ভূত তখন সবটুকু দেখে চলে। কবিতা এগিয়ে চলে কবিতার পথে। কখনও একগোষ্ঠী বলে ওঠে...শিয়ালের মতো, তারপর আবার সবটুকু নীরবতা। তারপর আবার চলতে থাকা। আবার না বলা কথা। এভাবেই দিন কেটে যায়। তবু যে যৌন শব্দ নিয়ে প্রতিবাদ করে, সে করতেই থাকে প্রতিবাদ। বাহবা তার দরকার নেই। তাকে বিদ্ধ করো, সে তো ঋদ্ধ হতে এসেছে। আপেক্ষিক ভালো-মন্দ। আপেক্ষিক বেঁচে থাকা। অনুভূতির কোনও আলাদা জগতের দরকার নেই। সে খুঁজে নেবে তার পথ, তার কাব্য, তার সৃষ্টি।