সেই কবিতায় ফিরছে শহর নিয়নের রাতে। ভূত জেগে উঠছে। জাগছে যৌনতা। অশ্লীল হচ্ছে সাহিত্য। সাহিত্যের ভাষা। কেউ বলছে পড়তে পারি না এসব। এসব সাহিত্য নয়। ঠিকই। সমাজটাই বড় পাল্টেছে। বদলেছে। তবু জয় হার থাকে। আর থাকে কবিতা। সেই কবিতা কেউ দেখতে পায়, কেউ পায় না। লোক ডেকে কবিতা শোনানোর দিন নেই। তাই এখন পোস্ট করতে হচ্ছে।
মানুষ একা। একাকিত্ব। তাই এই কবিতার ভূতরা মৃত। ফাঁকা বাড়িতে মৃত ভূত আর আমি। এভাবেই কবিতার ভূতের রাজত্ব চলতে থাকে। কবিতা অনেক কালের। তাই খাওয়া কমিয়ে কবিতার ভূত তাড়ানো যায় না। কবিতা আসে। ঐ ল্যাম্পপোস্টে দেখ কবিতা লেগে আছে। বিদ্যাসাগর আজও পড়াশুনো করছে।
কবিতা তো কল্পনা। আপনি এই লেখা পড়ে যা তা বলতেই পারেন। তবে কবিতা কবিতাই থেকে যাবে। থেকে যাবে রাতের অরক্ষিত শহর। থেকে যাব আমি।
একা। ভূত আসবে। আমায় কবিতা ভেবে ছেড়ে দিলেও আপনাকে চেপে ধরবে। আপনিও তখন কবিতা লিখতে শুরু করবেন। যারা বলে যা দিন কাল, তাদের বলি কবিতার দিন আগেও এমনই ছিল। তখন লিখত কম জন। এখন লিখছে বেশি মানুষ। কবিতা তাই এগিয়ে চলেছে ভূতের হাত ধরে।
আমি ভূত হলে ডাকতে পারেন। আসব কবিতা হয়ে আপনার মনে। বলছি তো রাতের আধারে শান্তি দেব। সুখ দেব। ধর্ষণ করব না। শুধু কবিতাই দেব। চিরন্তন।