আজকাল এমন হয়। নিয়ম না মেনে চললেই বিপদ। কবিতা প্রতি পদে বিপদে ফেলে দেয়। কবিতা নয়, কবিতার ভূত। এই ট্রেনে উঠতে গেলাম। কবিতা এলো। ট্রেনে দাঁড়িয়ে কবিতা। ট্রেন থেকে নেমে কবিতা। সমাজে যা হচ্ছে, আমার মন যা ভাবছে, সবেতেই কবিতা। কবিতা নয় আসলে আমার লোভ। আমার লোভগুলো খুব বাজে জঘন্য। মানব সমাজে বলা যায় না। কিন্তু সেগুলোই তো কবিতা হয়ে ওঠে। পাঠক বাহ বাহ বলে। বেশ বলে। কিন্তু সেই কবিতা পড়ে কেউ গাল দেয় না। একেই বলে কবিতার ভূত।
এই ধরুন একটি মহিলাকে দেখে মনের মধ্যে লাড্ডু ফুটল। ব্যাস তাকে নিয়ে, তার শরীর, গড়ন নিয়ে ভাবতে থাকলাম কবিতা। বিশ্বাস করুন সবটাই কবিতার ভূত করাচ্ছে। আমি কিছুই করছি না। সাধারণেরা সে সব বুঝবে না, আমায় বলবে দুশ্চরিত্র। কবিতার ভূত ছেড়ে যায় না, কবিতা ভাবায় না, কবিতা আসে। আর এই আসার পিছনে লুকিয়ে থাকে কবিতার ভূত। কবিতার মধ্যে শ্রদ্ধা, যৌনতা, সাহিত্যরস সব মিলে মিশে খিঁচুড়ি। আর সেই খিঁচুড়ি একটু মাখো মাখো করে দিলেই বিরিয়ানি। পাঠক আবার দুই ধরনের। একদল বিরিয়ানি, একদল খিঁচুড়ি। আসলে সাধারণ ভাবে কবিতা সোজাসাপটা লিখলে বিরিয়ানি। সামনেই সব পেয়ে যায়। মগজ দিয়ে ভাবতে হয় না। আর একটু পরাবাস্তবতা মিলিয়ে লিখলে আধুনিক খিঁচুড়ি হয় বটে তবে তা একেক পাঠক একেক রকম ভাবে বুঝবে। এটাই মজা। এটাই কবিতা। আর সেই কবিতার ভূত আমার উপরে ভর করেছে। কবিতাই তো লিখি কামড়ে তো দিই না। তবে কবিতা সকলকে লিখতে হবে, পড়তে হবে। কবিতা ছেড়ে পালালে কামড়ে দিতে পারি। আসলে কবিতা ভালোবাসি। তাই কবিতা থেকে পালালে মুশকিল।
কবিতার ভূত আছে বটে, তবে কবিতা লোকে কিনছে কম। কবিতার বই। প্রকাশক, কবি মাছি তাড়াচ্ছে। কবি তাই ট্রেনে উঠছে। যাচ্ছে দূর দূরান্তে। কবি তো। তাই ভিক্ষে চায় না। আর কবি লেখা তেমন পড়ে না। তাই কবিদের ফেবু তে কবিতা পোস্ট করে অপেক্ষা। কবে একটা লাইক পড়বে। কি করবে সব কবিতার ভূত তো বড়লোক বা চাকরিজীবী নয়। কবি তো। তাই একটু বোহিমিয়ানা থাকে। এরপর কপাল, কবিতার ভূত যদি দেখা দেয় কোনও ভাবে তবেই কবি তার স্বীকৃতি পাবে। অপেক্ষা কবিতা ও কবিতা ভূতের।