কবিতা ভাল লাগছে নাকি কবিতার ভূত! কবিতা তোমার শরীরে রয়েছে। যে রোজ তোমার সাথেই কথা বলে। সেটা কি বুঝতে পারছো!! না বুঝলে ভূতকে ডাকো। কবিতার সাথে নিজে কথা বলো। এই আমি তো হেঁটে চলেছি। কিন্তু মনে হচ্ছে সে যেন সাথেই রয়েছে। কিন্তু যখন চলে গেল তখন মনে হচ্ছে সে তো সাথেই ছিল। এই কবিতার ভূত শহুরে মনে দেখা যায়। কবিতার মধ্যে লুকিয়ে থাকে আরেক কবিতা। ভাবনার মধ্যে লুকিয়ে থাকে আরেক ভাবনা। কবিতা চেতনা সকলের আসে না। কবিতা বোঝার পর ব্যক্ত সকলে করতে পারে না। কবিতা এক মুহূর্ত কথা। কবিতার এই অতীতগুলোকে চিন্তে হবে। তবেই কবিতার পথ ধরে এগিয়ে যেতে পারবে। কবিতার পথ ধরে এগিয়ে চলা, কথা বলা, প্রকাশ করা, ব্যক্ত করা, মানতে শেখা, বুঝতে শেখা সবটুকু মিলিয়েই বেঁচে থাকা। কবিতার নির্দিষ্ট এক সফলতা রয়েছে। কবিতার নিজস্ব পথ রয়েছে। সেই পথেই এগিয়ে যেতে হবে।
কবিতার এই ভূত তোমরা রাতের অন্ধকারে দেখতে পাও। আমি সে আলো আঁধারি দিনেও দেখি। কবিতা ভূত হয়ে চলে। সেদিন হেঁটে চলেছি। মনে হচ্ছে বাক নিলে কবিতা আসবে। আবার বাক নিলাম। পথে কবিতা নেই। কবিতা তাহলে কোথায়? পথ তো অনির্দিষ্ট। তবু আমি আমার চেনা পথ, চেনা দোকানের সামনে দিয়ে চলেছি। কবিতা নেই। অথচ কবিতা যে আসছে, কবিতা যে রয়েছে বুঝতে পারছি। কবিতার ভূত তো দুষ্টু। আমার চোখের পরীক্ষা করছে। কবিতার ভূত ধরা দেয় একেক ভাবে। আমি দোকানে পাশ দিয়ে চলেছি। ডানদিক, বাঁদিক দেখছি। কত মানুষ, ক্রেতা, বিপনি, দরদাম, হৈচৈ...তাঁকিয়ে দেখি এক মহিলা একটি মাছের দোকানে বসে আছে। আমি তাকাতেই ভাবল রঙিন মাছ কিনব। অ্যাকুরিয়াম। কিন্তু আমি তো কবিতার ভূতকে খুঁজছিলাম। একটা অ্যাঞ্জেলের অ্যাকোরিয়ামের ভিতর কবিতার ভূতটা লুকিয়েছিল, আমি তাকাতেই বেরিয়ে এলো। বিশ্বাস করুন কবিতার ভূত তো এমনই হয়।
তুমি পুকুরে জলে আমায় মেখেছ,
শান্ত ছায়ায় বসেছিলে অনেক জন্ম-রাত্রি।
সিগারেট ধরিয়েও আমার ঠোঁট পাওনি
রঙিন মাছের মধ্যে দিয়ে আলপথের সাগর চাও...
অথচ মাস্তুল তো আমার স্তনে, তোমার বীর্যে।
এর ছন্দ নেই কারণ ছন্দ বহু প্রাচীন আত্মা,
এসো মিশে যাই এই অ্যাকোরিয়ামে, ভিজুক রাতটা।
কবিতার মতো করে বুঝতে চেও না...ভালোবাসো।
দেখবে কবিতা পড়তে পড়তেই মেঘ ডাকবে, বৃষ্টি...
“অপদার্থের শান্তনু, আরেকটা মহাভারত লেখো
সবে তো এখন আধারের নগ্ন বারোটা...”
তুমি বলবে আলো ফুটুক...অরণ্যে