আজ খুব ভয় করছে। কবিতার ভূত আসবে না তো! কবিতা কত লিখেছি কিন্তু সেগুলো ভূত হয়ে যায়নি তো। কত কবিতা তো ছিড়ে ফেলে দিয়েছি। সেগুলোই আবার ভূত হয়ে আসছে না তো। কাজ করছি, পড়ছি, লিখছি মনে হচ্ছে কে যেন পিছু নিয়েছে। জ্যান্ত কাউকে খুন করিনি, মানে মানুষকে তাই কবিতার উপরেই ভয়। কবিতা লিখেছি, ছিড়ে ফেলে দিয়েছি। তাই কষ্ট ভয় সব শিরদাঁড়া দিয়ে নামছে। কবিতা তাহলে কি আমার উপর বদলা নেবে!!
আসলে অনেক কবিতা হয়তো ভালো। খাঁটনি করেই লেখা। কিন্তু আমার আবেগে সেই কবিতা খারাপ লেগেছে বলে ছিড়ে হত্যা করেছি। কবিতা তো মনের গুপ্তচর। তাই ফিরে আসছে সেই ভূতগুলো। খুব ইচ্ছে করছে পুরোনো কবিতাগুলো আবার লিখতে। কবিতা বেশে সেই নাটকটা, কবিতার ছন্দে ছোটবেলায় লিখেছিলাম। মাধবীলতা নেচেছিল। সেই কবিতাই আজ আবার লিখতে ইচ্ছে করছে। তাই সেই কবিতার ভূতগুলোই বোধহয় আমার পিছু নিয়েছে।
বৃষ্টি হলে কবিতা লেখার প্রেম আসে। প্রেম মানে রোমাঞ্চ। কিন্তু যদি অতীতকে স্মৃতি থেকে নিয়ে লিখতে পারি, তাহলে খুব ভাল লাগবে। কবিতা লেখা সহজ নয়, মনের মধ্য মাদকতা আসতেই হবে। এক আঘাত, এক আনন্দ, এক রোমাঞ্চ। তবেই তো নতুন গ্লাসে পুরোনো মদ...কবিতা লিখবে। আবৃত্তির সাথে আবহ তৈরি হবে। কবিতাই নতুন এক চেতনা। কবিতার সেই সময় আজ এসেছে।
এই এক্ষুনি কবিতা আমায় স্পর্শ করল। সাড়া শরীর জুড়ে স্পর্শ। শীতল। শিহরিত হলাম। কবিতার এই অশরীরী আমায় আত্মায় মিশে যাচ্ছে, আমার কবিতার অতীত ফিরছে। আমি পেরিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছি। অতীতে। কবিতার অতীতে। আমি আর অন্ধকার। একটা আলোর দিকে চলেছি। আমিও কি তবে মৃত! কবিতা কি তবে মৃত্যুর আরেক নাম!! জানি না...ভূতের স্পর্শে অজ্ঞান হয়ে গেলাম। নীরব। কবিতারা নিজেই টাইপ করে চলেছে ল্যাপটপে। আমি কবিতা জানি না। কবিতারা আমায় জানে। ভূত...কবিতার ভূত।