কবিতার অনেক মজা। সে শুধু চুপটি করে বসে থাকে। কত জন, কত পাঠক, কত পথ চলতি মানুষ, কত কিছুই তো বলে। কেন বলে জানি না। শুধু বলে যায়। কবিতার চুপ। নিশ্চুপ। শোনে। বলে না। তাই শত্রু নেই। কবিতা চুপ করে বলে। কবিতায় বলে। বাকিটা চুপ। ঐ পুজোতে পা ব্যথার মতো অবস্থা। পা ব্যথা হলেই মুখ ভাড়। বাড়ি যাবে। কবিতা মন খারাপ করে না। কবিতা বলে আমার ভাই আসছে। সে আমার থেকেও ভাল। সে অন্যরকম। কবিতার এই গুণ খুবই প্রশংসনীয়। এমনটা হতেই পারে কবিতা ভাল লাগছে না। লাগছে না, লাগছে না করতে করতে একটা সময় আসবেই। তখন সে বলতে বাধ্য হবে কবিতাটা ভালো। একটা কবিতা কারওর দশটার পর ভালো হয়, কারওর পাঁচটার পর। আবার কারওর সব কবিতাই ভাল। অভিজ্ঞতা জড়িত।
তবু কবি কথা বলতে পারে, কবিতা তো পারে না। সে চুপ করেই থাকে। কবিতা চুপ থাকে কারণ সে জানে এরপরেরটা ভাল হতেই পারে। কেন, কিভাবে জানি না, তবে ভাল তো হতেই পারে। কবিতা ভাল হতেই পারে। কবিতা ভাল হয়। কবিতাদের ভাল হতে হয়। একদিন বুঝবে, সব লেখাই ভালো। আসলে তা সৃষ্টি। চেতনার সৃষ্টি। সৃষ্টির অনন্য এক অণুরণন। ভালবাসার মতো কবিতাও তাই চলতে থাকে। স্রোতস্বিনী। ভালবাসার মতো কবিতাও অমরত্ব চায়।
পাঠক চাইলেই কবিতাকে অমরত্ব দিতে পারে। তবে পাঠককে কবিতাটার ভিতরে ঢুকতে হবে। বুঝতে হবে। সেই মননশীলতা থাকতে হবে। কবিতা তো সকলে বুঝবে না। বুঝে গেলে তো মুশকিল। তাহলে কবি তার দাম হারায়। তাই কবিতা কবিতার মতোই থাকে। চুপ করে থাকে কবিতা। নিশব্দে। নীরবে। গভীর মননে। নিশ্চুপ। মানুষও যদি এমন হত, গাছের মতো নিশ্চুপ তাহলে পৃথিবীটাই অন্যরকম হতো...