যাপন জীবনে কাজগুলো করে নিন। তারপর কবিতা লিখুন। অনেক কবিতা। অনেকটা কবিতা। শহরের মাঝে হামলেট থাকে, থাকে মানুষ, থাকে মৃত্যু, থাকে জীবন। ছুরি ঘুরতে থাকে। কাঁচিও থাকে। কবিতা কেটে কুটে বাড়ি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। কবিতার ঘর ছিল সাবেকি। এখন সব ইঁটগুলো ফেলনা। এখন বিশাল ফ্ল্যাট। আকাশ ছুঁয়ে ফেলা। ভুল স্বপ্নরা আজ বাস্তব। সন্দেহগুলোকে দেখিয়ে দেওয়া আমিও পারি। এই ভাবনা থেকেই কবিতারা বিক্ষিপ্ত হচ্ছে।
কাজগুলো ভাল হলে কবিতা এমনি আসবে। এমনি সুরের রাগেরা বাসা বাঁধবে। উচ্চতা। উচ্চতা ছোঁয়ার মাছে ভুল বানানের মতো ভুল কবিতা হয়ে আমি দাঁড়িয়ে। ভালবাসার, ভাললাগার জায়গা নেই। বেঁচে থাকার বেঁচে বাসা বাধার এক নতুন উড়ান। কবিতা তো এসব চায় না। পাঠক চায় অনেক টাকা। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ফ্ল্যাট, অফিস। তারপর সামান্য সব কবিতা।
কবিতা আজ বড়ই সামান্য। তাই তো সাহিত্যের ছোট্ট স্থানটি বিপন্ন। কবিতা আজ সন্দেহের জন্যই একাকিত্বের সাথী। কবিতা আজ কাজের পরে। কাজটা মুখ্য। গৌণ কবিতা। কবিতা যে তা নয়। মানুষ, পাঠক, শহরের রাস্তা পারলে এসব বুঝতে শেখো। গাইতে শেখো কবিতার গান, বলতে শেখো জীবনের কথা। আইন সব নয়, টাকা সব নয়, মানবিকতা সব। সন্দেহ না করে কবিতা বোঝো। ভালবাসো। তাহলে কবিতাই পাবে। কবিতার রূপ ধরে সমস্তকূল বাঁচার স্বপ্ন দেখবে। কবিতার উপত্যকা এত সহজ নয়। সবার নয়। এসো সকলে সেই কবিতা বুঝি। কাজের আগেই বুঝি। চোখ বন্ধ করে ধ্যান করি। দেখবে মহাভিনিষ্ক্রমণের কবিতা তুমিও পাবে।