যেমন ভাবে কবিতারা রোজ কথা বলে, তেমনই বলছে। বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক পাখিরা খালে মাছ ধরছে। পুকুরে হাস মা ও ছানাগুলো সাঁতার দিচ্ছে। কবিতা তো এখান থেকে আসলে ভাল হত। প্রকৃতি যদি কবিতার শেষ কথা হত তাহলে সুন্দর হত। কিন্তু সমাজে কত কথা। কত ব্যথা। কত নীরবতা। এগিয়ে চলতে থাকে রহস্য। এগিয়ে চলতে থাকে ভাবনা। এগিয়ে চলতে থাকে কত কথা। ভাবুক প্রাণ এত কিছু সত্যই বোঝে না। চেতনার অগোচরে এক মূর্ত জীবন আছে। সেই জীবন ধরে হেঁটে চলেছি। বলে চলেছি কথা। নীরবতা। ভাবুক প্রাণ ভাবুক হৃদয়। ভাবুক সফলতা।
কবিতা যে কত কিছু নিয়ে এগিয়ে চলে তা কবি নিজেও জানে না। অনেকে শিখতে চায়। অনেকে বলতে চায়। অনেকে নীরব থাকে। নিজের টুকু পড়ে ক্ষান্ত থাকে। কিন্তু জীবন তো তা নয়। জীবনের নিজস্ব এক অর্থ রয়েছে। সে কবিতাকে বন্ধু করবে কিনা তা নির্ভর করে নিজের উপরেই। কবিতা নিজের গতিতে ছন্দ খুঁজে নেয়। তবে সে কবি হিসেবে ঠাই দেবে কিনা সেই জানে।
এই যেমন আমরা রোজ মরি। আবার বেঁচে উঠি। কবিতা তো তা নয়। সে জ্যান্ত। সে মরতে জানে না। সে মরাদের বাঁচাতে জানে। যদি কবিতার প্রয়োজন হয় সে পাঠককে কবি বানিয়ে নেবে। কবিতা সময় চেনে, সে সময় আমরা সাধারণেরা চিনি না। তাই কবি বলে নিজেদের বাহবা দিই নিজেরাই। কিন্তু কবি যে সময়ের প্রয়োজনে এক চেতনা তা বুঝতে শিখলে প্রতি ভাষার মতো বাংলা ভাষাও সার্থক কবি পাবে। লেখকের, সত্য লেখকের আজ বড় প্রয়োজন।
ঠিক সময় তাই ঠিক লেখা কবি লিখবে। সময় লিখিয়ে নেবে। সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে। তাই সময়কে সময় দাও। মাথার ভিতর কবিতা ঠিক আসবে। একটু বিশ্বাস রেখে কবিতা লেখার সাধনা চলতে থাকুক। দেখবেন সকলে না হলে কবি তার কবিতা ও কবিতা তার পাঠককে খুঁজে নেবে। তাই সময় বড় প্রয়োজনীয়। ও যারা আমার লেখা বোঝেন না, তারাও সময় আসলে এই লেখাই পড়বেন এবং বুঝবেন। তখন কবিতা কি...কেন একটু মানে পাল্টে বুঝে নেবেন। মরা থেকে রাম হয়...আবার রাম থেকে রামায়ণ...মনে হয় রামায়ণও ছন্দে লিখিত, তাই না!!