এক রাতে স্বামীকে ডাকিয়া সে চাহিয়া লইল মাফ,
সে রাতেই সে যমের সাঙ্গ হইল বাঁচিয়া ছাড়িয়া হাফ।
পায়ে আলতা রাঙাইয়া বধূ সাজাইয়া লইয়া শ্মশানে,
আতি অলক্ষ্যে স্বামী স্বয়ং নিরলে মুখাগ্নি করিলে।
শ্বশুর-শাশুড়ি, বাপ-মা, স্বামী দোষ দেব যে কাহারে,
কে জানিত এমনি নিষ্ঠুর রহিয়াছে তাহারি কপালে।
পক্ষীর তরে দুঃখ করিল দেশ-গ্রামের সকলেই,
শুধু পারিল না করিতে দুঃখ নির্বোধ বাপ-মায়েই।
আকাশ করিল, বাতাস করিল, করিল বিলাপ কত কে,
চারপাশে যেন সেই বিলাপ শুনা যায় হর রোজকে।
ভাদ্র মাসের দিন পনেরোতে গত হইয়াছিল পক্ষী,
গাছগাছালি আর পাখপাখালি সকলেই রইল তার সাক্ষী।
আশার স্বপনে ভাসিয়া যায় বর্তমানের যাহা সবকিছু,
ভবিষ্যৎ না ভাবিয়া হয় কি ঠিক নেওয়া স্বপনের পিছু?