তুমি বললে, বাসতে ভালো ‘প্লাটোনিক ভালোবাসা’র মতো!
একটু মৃদু হেসেই বলতে হলো, “দারুণ বলেছো।
এর আয়তন কত?”


প্রশ্ন শুনেই তোমার পলায়ন,
আবারো মৃদু হাসলাম, আর বুঝলাম-
সত্যি তুমি জানো না এর আয়তন।


তোমাতে মুগ্ধ হয়ে, মগ্ন হয়ে লিখতে বললে কবিতা,
পণ্য তোমায় চাইনি বানাতে, কিন্তু-
তুমি তো চাইলেই হতে তা।


চিত্ত ভরে বিত্ত নিয়ে ভাবলে, সে আমায় চিনে নিক
সত্যি, আমিও বুঝলাম
তোমার ভালোবাসা ‘প্লাটোনিক’।


বললাম তোমায়, “তোমার ক্ষণিক অনুপস্থিতির পর
পুনশ্চ ফিরে আসা আমার বক্ষতলে কষ্টের ধাক্কা”,
আহ! তুমি এত খুশি হলে-
মনে হয় যেন ব্রহ্মাণ্ড জয় করেছো গোটা পাঁচটা।


মনের রাজ্যে সিংহাসন তো চাইনি আমি
থাক না সে রাজার জন্য রক্ষিত,
বলেছিলে, “আসন একটা তুমিই রেখেছো”,
‘প্লাটোনিক’ মেনে নিয়েই কী তবে করবো সঞ্চিত?


আহ! আমার সাধের প্লাটোনিক ভালোবাসা!
এতদিন ছিল মনে, জ্বলতো ক্ষণেক্ষণে,
কেড়ে নিয়ে মুখ থনে, অনেক সহযতনে
চিত্ত করে লঙ্ঘন, হাসলে মনেমনে।


আমি তবে বলি শুনো,
কামহীন আছে কী প্রেম? হয় কী ভালোবাসা?
অভিনব হবে হয়তো যদিও ধারনাটা পুরানো,
আহ! আমার প্লাটোনিক ভালোবাসা!