গ্যারেজটা খোলা থাকলে তো কথাই নেই।
বন্ধ থাকলেও পায়া ভাঙ্গা বেঞ্চিটা সাটারের বাইরেই থাকে।
একজন ভবঘুরের জন্য এটুকুই যথেষ্ট নয়কি? যথেষ্ট!
তাছাড়া অপেক্ষার বিশ্রী রকম অভিজ্ঞতায়
পায়চারী’ই তো বেশী থাকে!
যখন সিগারেটের ধোঁয়া আছে একাকিত্বের একান্ত সঙ্গী হিসেবে,
তখন তো পরপর কয়েকটা।
শ্রাবণ্য’র কোচিং আবার পাড়ায় চায়ের দোকান একটাই।
ওখানে কোন পরিচিত জন থাকলে; নতুন করে কৈফিয়ত আঁটো।
তার চেয়ে বরং, অসহ্য সহ্য করাই শ্রেয়।
আর শুক্রবার কেন কোচিং করতে হবে?
স্যারের’ও আক্কেল গুড়ুম নেই নাকি!
একজন ভবঘুরের রাগের বহিঃপ্রকাশ; সর্বোচ্চ অর্ধ পোড়া সিগারেটটা ছুড়ে ফেলা।
ওদিকে ধীরে ধীরে নীল রঙ, আকাশের ভার দেয় লালছে গোধূলির হাতে।
আর তখন ফেরার সময় হল শ্রাবণ্যর!
‘অনেক দেরি করে ফেললাম গো!
কি করবো, স্যার একটা পরীক্ষা নিয়ে ফেললো।
আর এখন তো নদীর পাড়ে যাওয়া একদম সম্ভব না।
সন্ধার মধ্যে বাসায় না ফিরলে মা বকবে।’
ভবঘুরের সহজ সম্মতি, ঠিক আছে তুমি যাও।
ভবঘুরের হাতে
এমন অনেক অপেক্ষা আছে,
এমন অনেক বিকেল আছে শ্রাবণ্য’র জন্য।