পদ্ম দীঘির পাড়, বটের ছায়ার ঘর
সেকি কখনো উপেক্ষার!!
বছর চারেক বাদে, যেন সে একই অনুভূতি জমানো পায়ের তলায়।
অপেক্ষার অস্থিরতায়, সে একই পায়চারি।
যেন, এইতো আসছো তুমি! গৃহস্থের কাজ বলে কথা।
গুছিয়ে আসতে তোমাকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বুঝি।
ততক্ষণে আমার অস্থির পায়চারীর মুদ্রাদোষ এসে জমেছে বুড়ো আঙ্গুলের মাথায়!
সে আঙ্গুল, বোবা ঘাসের শরীর ক্ষত বিক্ষত করে সৃষ্টি করে চলেছে
তার অবয়ব ডোবানো গর্ত।
সন্ধ্যা তখন প্রায় হবো হবো।
আমি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ফিরে এলাম আমাদের সেদিন হতে!
জানো, তোমায় একান্তের জন্য কখনো লুফে নিতে চাইনি,
তোমার স্বাধীনতা হতে!
শিখিনি তোমার জন্য বিশ্বাসের কোন বিপরীত শব্দ!
তবে বিষাদের এ ঘন ঘোর কেবল আমার জন্য কেন?
কেন বাধাহীন আমি এখনো তোমার অপেক্ষায়?
ক্ষণে ক্ষণে আঁধার ঘনিয়ে আসছে আমার চারিদিকে ।
আমি ক্রমশে ডুবতে শুরু করেছি, সে আঁধারের তীব্রতায়।
আঁধারের পুরুত্ব ভেদ করে দেশলাইয়ের ক্ষীণ আলো,
হঠাৎ জানান দিলো আমার অস্তিত্ব।
কিন্তু সে অস্তিত্বের কোন অংশ ছুঁয়ে তুমি ছিলে না!
তোমার ঠোঁটের পরিচিত ফুঁ’ও এসে নিভিয়ে দেয়নি সে আলো!
তোমার তীব্র আলিঙ্গনে নির্জনতাও পায়নি কোন একান্ত নিঃশ্বাসের শব্দ!