দেখলাম, ওরা তাকে হল ঘরের দিকে নিয়ে গেলো।
কালো কাপড়ে তখনো আঁটঘাট করে তার চোখ বাঁধা!
একজন বুটের লাথি হাঁকালো বুক বরাবর- 'বাঙলা চাইয়্যে? বাঙলা? হারামখোর!'
জনকয়েকে দাঁত খিঁচিয়ে আঘাত করতে লাগলো সর্বাঙ্গে।
কেউ খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলছিলো নখ।
শুনলাম, তার অবিরাম আর্তনাদ; দেয়ালের শরীর হতে থেমে থেমে ঝরছে।
এ যেন বিড়ালের আখড়ায় অসহায় এক অন্ধ ইঁদুরের নিয়তি!
তার প্রত্যেকটা চিৎকারে, ওরা হিংস্র উদ্যাম খুঁজে নিচ্ছিলো!
আঘাতে আঘাতে তার শরীর যখন প্রায় নিস্তেজ
তখন তার রক্তাক্ত ঠোঁট বেজে উঠলো-'একটু পানি, পানি, একটু পানি।'
কেউ একজন তাকে টেনে নিয়ে গেলো পাশের করিডোরে।
আঁচড়ে নিয়ে যাওয়া তার শরীরের পিছু পিছু
চলে গেলো ছোপ ছোপ রক্তে অংকিত একটা রেললাইন।
শুনলাম, গুলি করে দিতে চাইলো তার পুরুষাঙ্গে!
যেন নতুন কোন জন্মে আর বাঙ্গালী চেতনা না থাকে!
আবার কেউ একজন বাঁধ সাধলো তাতে।
পা চাটা ভঙ্গিমায় বলল-
'স্যার, শালা পানি খেতে চেয়েছে তো! ওকে পানিতে চুবিয়েই মারেন।'
অট্টহাসি শুনলাম, সকল মুখের গ্রাসে!
পুনরায় তাকে নেয়া হলো জলাশয়ের পাড়ে!
তার নিথর শরীরে জুড়ে দেয়া হলো নির্যাতনের ভার
তাকে গড়ানো হলো,
অর্ধমৃত দেহটা একবার না গড়াতেই ঝপাৎ করে একটা শব্দ, জলে!
জল কি তাকে নিতে চাইলো? জানিনা!
পিশাচদের উল্লাস শুনলাম।
আমি চাইলেই তখন- ট্রিগার টিপে দিতে পারতাম,
কিন্তু না! আমার ক্ষুধা যে আরো বেশী...
ভেতর ভেতর হানাদার বধের নকশা সাজিয়ে,
শুধু শুকনো ঠোঁটে কেবল তাল মিলিয়ে হাসলাম।