এ ব্যস্ততার রেশ নাহি আর কাটে
প্রহরের রঙ বদলে সাজে নতুন ব্যস্ততাতে।
ঢুলু ঢুলু আঁখি বিশ্রাম নাহি পায়
স্বেচ্ছায় আঁখি বুজি লই ফের বিশ্রাম পিপাসায়।
চর্ম চক্ষু ঘুমে ডুবে যায় মুহূর্ত বেগ ধরে
ধ্যান-জ্ঞান মোর কোথা ছুটি যায়, অচিন তেপান্তরে।
যেথায় উঠেছে একখানি চাঁদ, দুধে গুড় মেশা রঙের!
রাঙা আলোর রাত্রি যেন ভর করিয়াছে দিনে।
জলাশয় দ্বারে, শালুকের শিরে জোনাক জ্বলিছে কত!
কোন পথিক আছে! এ শোভা দেখি পায়নি সুখ অবিরত।
জল টানি যায় ভাটার টানে, নাও পরি রয় পাড়ে!
শিয়ালের দল হুক্কা-হুয়ায় সে নাও দখল করে।
অশ্বত্থের ডালে বাদুরের পাখা, উড়ে চলি যায় দূরে!
বিরাম তখনো যায়নি বনে ঝিঁঝিঁ’র কণ্ঠস্বরে।
আঁকা বাঁকা পথ কতদূরে গেছে! ধান সারি দুপাশে লয়ে
মাঝে মাঝে তার কয়েক বৃক্ষ এক পায়ে খাড়া হয়ে।
দেখা যায় দূরে উঠোনের মাঝে কুপির আগুন জ্বলে!
কৃষাণ, গরু ঘুরিছে তখনো সে কুপি বৃত্ত করে।
পদে পদে যায় এ গ্রাম, সে গ্রাম! সঙ্গী আপন ছায়া।
মেঠো পথ ধরি যতটা এসেছি উবেনি পথের মায়া!
ক্লান্তির বুঝি ঠাই হলো না, শরীরের কোন ঘাটে!
মুগ্ধ হৃদয় হাঁটিছে যেন শরীর কল্পনাতে।
এ পথের ধুলি লয়ে চলিছি পূর্বের সীমা ধরি!
এ পথের শেষ মিলেছে যেন গিয়ে সূর্যের বাড়ি।
চমকি নয়ন, চন্দ্র তখন গগনের কোলে শুয়ে!
ঘুম বুঝি তার নয়নে আসিছে, মেঘের পরশ পেয়ে।
নিজ্জুম রাত ঘুমে ডুবে তবু রূপ নাহি কমে তার!
জগতের মাঝে আমি যেন শুধু এ রূপ পাহারাদার!!