যেন প্রভাত, সন্ধ্যা কিছুই দেখিনা হাজার বছর ধরে!
সূর্য ওঠেনা, সূর্য ডোবেনা আমার শয়ন ঘরে।
দৃষ্টিসীমা বন্দী কেবল চার দেয়ালের মাঝে
সর্ব শরীর শয্যায় মেখে অতিষ্ট নিয়ে বাঁচে।
কি কঠিন এক অসুখ বেঁধেছে হাড়ের সর্ব জোড়ে
নিয়তি কেবল পরিহাস করে দুপায়ের ভর কেড়ে।
মিছেমিছি আর যেতে চায় না, সময়ের বহুক্ষণ!
কতদিন বুক পায়নি বায়ু, পায়নি তৃপ্তি মন।
বৃহৎ তন্দ্রা ছেড়ে
মন শুধু চায় চক্ষু পোহাই প্রকৃতির রূপ ধরে!
কল্প ছলে, চক্ষু জলে- সেদিন তবে কি আর
আসিবে না ফিরে! প্রকৃতির বুকে রাখিব না নিজ ভার!
চার দেয়ালের শরীর বেঁয়ে চিন্তাও মৃত প্রায়,
ক্ষীণ আলো ধরে বেঁচে শুধু প্রাণ, জীবনের অন্তরায়।
সুখ স্মৃতি বলিতে যা
পরে আছে তা অতীতের কাছে, ছোট্ট বালকে আঁকা।
কুঁড়েঘরে মোর শৈশব ছিল, কৈশোর ছিল সুখে
যৌবন ছিল প্রেম-বিরহের উষ্ণ সম্পূরকে!
সবুজ খাঁচায় রং-তামাশার, মোর সোনা দিনগুলি!
প্রাণ শুধু চায়, ফের ছুটি যাই শয্যার এ দিন ভুলি।