এমন নিশি করেছি যে আশ,
বদ্ধ আঁধারে জাগি।
তন্দ্রা যতক অন্যেরে সঁপে,
দর্শন লোভে আঁখি।
দুহাতে সরায়ে বাতায়ন দ্বার,
দেখিছি জগত খানি।
চন্দ্রের সকল শুভ্র মাখি,
নিশি সাঁজিয়াছে রাণী।  
আঁখি ভুলি গেছে পলক ফেলিতে,
এমন নিশি দেখি।
কোন গোলা মোর খালি করি এখন,
এই অপরূপ রাখি!
বৃক্ষের শির কেবলই অধীর,
চন্দ্রে মাখিতে গা।
বাতাস রহিছে অদৃশ্যে তারই,
আলোর শুভ্রতায়।
এক থালা চাঁদ আনিছে প্রভাত,
রজনীর দ্বিপ্রহরে।
নক্ষত্র দল করিছে প্রবল,
উল্লাস তারে ঘিরে।
দু’আঁখি ভীষণ করিছে ধারণ,
চন্দ্রের কত রূপ।
চূড়ায় তলায় তবু ডুবে রয়,
চন্দ্রের আলোতে খুব।
বৃহৎ সময় ক্ষীণ মনে হয়,
এমন নিশিতে জাগি।
প্রতিদিন তব জাগিয়া রবো,
চন্দ্র দিবার লাগি।