অপ্রস্তুতে তোমারে দেখিছে চোখ,
শত ব্যস্ততা তুচ্ছ করি তোমাতেই মনযোগ।
এত সুশ্রী অধরে কেন নিলে?
থমকে থমকে বক্ষ তলে তোমারই দীপ্তি জ্বলে।
সুঘ্রাণে মাতাল কেশের এলো ঝড়ে,
হৃদস্পন্দন লুটায়ে তাহার পরে।
পশ্চাতে শুনি সুশ্রাব্য হাসি সুর,
পদে পদে পথ রোধ হয়ে আসে, পারি নাহি যেতে দূর।
চাহনিতে কেন এতটা ধরিলে মায়া?
অশ্বত্থের মত দাড়িয়ে দেখেছি, আমি বাকহীন ছায়া।
জনে জনে তুমি তুষ্ট দিয়েছ, দেখেছিনু থেকে আড়াল।
দিন যত বাড়ে, তোমায় লাঘবে আগ্রহ বাড়ে প্রবল।
আরো কত রূপ ধারণ করিছ তোমার নিজ অনুরাগে?
তোমারেই যেনো চেয়েছি আমি সাধনার পুরো ভাগে।
তুলনা বুঝি তোমাতেই তুমি পশ্চাৎ সম্মুখে,
পলকে পলকে তোমারেই পাই, চিত্তের নব অসুখে।
অজান্তে তোমারে সঁপেছি সকল, তুমি মোর প্রিয় ও-গো!
এ হাতে আমার মৃত্যু রাখিলেও, তোমা চাই ও হাতে তব।