মানুষে রাখিয়া হাত। পাও নাহি বুঝি স্বাদ?
আর আগের মতন।
দিন যত হয় পার। পর থেকে আরো পর
যত কাছের আপন।
স্বার্থ হইয়াছে প্রস্ফুটিত, নিজের নিজেকে লহিয়া যত
গাহিছে পেরেশান, জয়গান।
মমতা ধুলির মত মিছে, সে অথবা অন্য সকল কাছে
নিজ বাঁচিলে, বাঁচিবে পিতার নাম।
পথে মানুষের কোলাহল, তবু আপদে জমে না দল
চক্ষু সামনা কাঁদিয়া মরে মুমূর্ষ সম জন।
মানুষ নিজেরে ভজিয়া মরে, স্বজন মরিল না হয় দূরে
তব ‘আমার জল কেন মেটাবে তৃষ্ণা তাহার গলের?’
ও ভাই, মানুষে মানুষে সঙ্ঘ করি পৃথিবী করিছে জয়
বৃহৎ বিপদ ভাগ করি লয়ে, দুঃখ করিছে ক্ষয়।
হিংসার অনলে পুড়ে যায়, ভাই
জীবদেহ বাদে সব।
মানুষে মানুষে হিংসা কেন? মমতার হোক জয়।
রক্ত যেমন ধমনী-শিরায় মানুষ বলিতে সকলের,
ভেদাভেদ কেন চলায়, বলায়, চিন্তা করিয়া ঊর্ধ্বের?
আঙ্গুল ধরে কি বড় হও নাই? পিতা-মাতা আরো কতকের।
তবে শরীর বাড়িলে লোপ পায় কেন, মমতা মাখিতে সবেকে?