তীব্র তাপদাহে করি চৌচির, আমি চৈত্রের পঁচিশ।
অদূর হতে কে আসে আমার পানে ছুটে?
তরুণীর মত অঙ্গ ভঙ্গিমায় দুহাত মেলে।
ক্রমশে হাসির রেখায় স্পষ্টতা নিয়ে।
আমি চৈত্রের পড়ন্ত বেলায়!
চোখের ঠাহর কমে আসে ঢের।
আমি কৌতূহল চোখে এগিয়ে যাই, চৈত্রের ছাব্বিশে।
কে? কে আসে এদিকে ছুটে?
মুকুটে একশো ফুলের ভিড় জমিয়ে।
আঁচলের পুরো জমিনে সাদা, লাল রঙ মাখিয়ে।
কাঁচের চুড়ির গুঞ্জন আরো স্পষ্ট আরো শ্রুতিমধুর হতে থাকে!
কোন তরুণী ধেয়ে আসে?
প্রলয়ের মত ডঙ্কা বাজিয়ে।
এত উচ্ছ্বাস! এত আনন্দ ভরা এলো কেশে।
আমি দু-এক পা করে এগিয়ে যাই তার দিকে,
সাতাশ, আঠাশ করে চৈত্রের ঊনত্রিশে।
তরুণী প্রায় আমার সন্নিকটে,
বাংলার রূপে-সাজে, মিলেমিশে একাকার তার অবয়ব!
আমি আরো এক পা বাড়িয়ে চৈত্রের ত্রিশে।
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি,
আমি দেখতে পাচ্ছি তরুণীর লাল, সাদার বহুরূপী আয়োজন।
দেখতে দেখতে,
আমি! আমি...নিমেষে আচ্ছাদিত তরুণীর বৈশাখী আঁচলের তলে।