শ্রাবণের নিস্তব্দ রাত!
চাঁদহীন, আলোহীন
ধূসর অন্ধকার
নগরীর অলিতে গলিতে।
ধানমন্ডীর ৩২ নম্বর বাড়ি
গাছের আড়ালে ঢেকে আছে
স্বর্গের ঘুমে, মুগ্ধতার আবেশে
বাঙালীর স্বপ্নের কারীগর।
হঠাৎ ঠক ঠক শব্দ
বুটের এলোমেলো ধ্বনি
সিড়ি ভেঙে ভেঙে উঠে
যুগের পিশাচেরা!
বেয়োনেটের খোঁচায়
দরজায় অভদ্র কষাঘাত
সটান দরজা খুলে যায়
সম্মুখে দাড়ানো হিমালয়!
বলিষ্ঠ কন্ঠের গর্জনে
হতভম্ব সম্মুখের কা -পুরুষ
পিছন থেকে গর্জে উঠে রাইফেল
ঠা ঠা শব্দ, মৃদু আর্তনাদ।
হিমালেয়ের বক্ষ ভেদী
উল্লাসিত নরপশুর দল
একে একে চালায় তাদের
অসমাপ্ত কিলিং মিশন।
লাল রক্তে ভেসে যায়
৩২ নম্বরের শান্ত কুটির
রক্ত গোলাপ হয়ে নিভে যায়
ছোট্ট পাখি, দূরন্ত রাসেল।
তারপরে পদ্মা মেঘনা কতকাল
কেঁদেছে নিরবে, বয়েছে যন্ত্রণা
কেঁদেছে শ্রাবণ নির্জন নিশীতে
কেঁদেছে বাঙালী গভীর চাপা কষ্টে!