পলাশীর প্রান্তর ছেয়ে গেছে যেন পলাশীর লাল রক্তে
বেঈমান রূপে যুগে যুগে দেখ মীর জাফর হাসে তখতে!
টিনের সেপাই অভিনয় করে যায় পাতানো নাট্য মঞ্চে
পরাজয়ের গ্লানি ধেয়ে আসে হায় অভাগা জাতীর রন্ধ্রে।
কা পুরুষ সেতো মরার আগে মরে হাজার বার
নষ্ট পচা বিবেক লয়ে নিজ ভূম করে ছাড় খার!
জানিনা সেদিন আম্র কাননে নবাব হেরেছিল কিনা
তবে বাঙালী হেরেছে সেদিন যুদ্ধের দামামা বিনা।
এক হাতে ক্রুসেডের তরবারি আর হাতে বাইবেল
ভারত বর্ষে সভ্যতা শেখাতে খেলেছে ভীষণ খেল।
তারপরে হায় ভাগীরথীর তীরে কত আঁখি গেছে কেঁদে
কত স্বপ্ন মুছে গেছে জানি কালাপানির আন্দামানে
কত বিপ্লবীর রক্তের দাগে শুকুনের ঠোট হল লাল
বাহাদুর শাহের শেষ নিঃশ্বাস হায় থেমেছে চার দেয়াল!
দুইশত বছরের গোলামীর জিঞ্জীরে অনেক হল বেচাকেনা
স্বাধীনতা হারায়ে চেতনা হারায়ে অবশেষে ছেঁড়া তেনা।
বৃটিশ গেল পাকিরা গেছে স্বাধীনতার অনেক পরে
আজো কেন হায় স্বাধীনতার খোঁজ চলছে ঘরে ঘরে?
আজো কেন হায় ধর্ষিতা রমণীর চাপা আর্তনাদে কাঁপে দেশ
আজো কেন হায় প্রজার তকমা, শাসকের ই তরে কোশেশ!