কোন এক কার্তিকের ভোরে উঠানে ধান বুনে বুনে
আমিও দেখেছিলাম সোনালি ডানার চিল
তার পাখায় ভর করে আমিও উড়তে চেয়েছিলাম
আমার স্বপ্ন ছোঁয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে।
তারপর কত মাঘের পরে কত ফাগুন গেল
চৈতালী বাতাসে ভর করে বৈশাখী সাম্পান
কাশফুলের শুভ্র পাপড়ির মত উড়ে উড়ে
আমার স্বপ্নরা অধরাই রয় বিরহী বিকেলে!
এরপর স্বপ্নরা সংক্রমিত হয় আমার পরবর্তী প্রজন্মে
শিমুল পলাশের রংয়ের মত লাল টকটকে স্বপ্ন!
কিন্তু আমার সকল হিসাব পাল্টে দিয়ে একদিন
শিউলী ফুল হয়ে সে স্বপ্ন ঝরে পড়ে আমার উঠানে।
এখন ক্লান্ত আমি, চোখে ভারী কাঁচের গ্লাস,
বয়সের ভারে ন্যুজ মাটির শরীর!
এখনো আমার স্বপ্নরা আবার বুনেছে ধান
তার পরের প্রজন্মের স্নায়ুতন্ত্রীতে!


আমি পারিনি, ওরা পারেনি এরা পারবে এ বিশ্বাসে।
এভাবেই আগত পাখীর পথ পানে চেয়ে ঘটেছে আমার স্বপ্নের রূপান্তর!