কবিতা যদিও কবি মনের আবেগ অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। তথাপি এর প্রাঞ্জলতার জন্য স্বর, মাত্রা, পর্ব ইদ্যাদি গুণাগুণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা থাকতে হবে। তবেই একটা সুন্দুর হৃদস্পর্শী প্রাঞ্জল কবিতা লেখা যাবে। আশাকরি এ প্রবন্ধটি তরুণ প্রজন্মের কাজে লাগবে। তারা আরো বেশি  বাংলা কবিতার প্রতি মর্মস্পর্শী হবে এবং হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি এটাই আমার চাওয়া।


বাংলা পদ্য সাহিত্যে স্বর দুই রকমের হয়।
যথা- ১) বদ্ধ স্বর  ও ২) মুক্ত স্বর
(১) বদ্ধ স্বরঃ যেসব ধ্বনী উচ্চারনের সময় জিহ্বা মুখমন্ডলের প্রবাহমান বাতাস আটকে দেয়, তাদের বদ্ধ স্বর বলে। উদাহরণ স্বরূপ - আঁক, ঝাঁক, বাঁক, মর, ধর, কর, থাক, হায়, পাক, বীন, দিন, হই প্রভৃতি।
(২) মুক্ত স্বরঃ যে সব ধ্বনী উচ্চারনের সময় মুখবিবরের প্রবাহমান বাতাস জিহ্বার কোনোরূপ বাধা ব্যাতিত বাহিরে বেরিয়ে আসতে পারে, তাকে মুক্ত স্বর বলে। যেমন - হা, না, বা, বু, দি, দা, কা, চা, পি, পা ইত্যাদি।
শব্দের গঠনগত বিন্যাস উদাহরণ দিয়ে বুঝালে স্পট হবে। যেমন 'সন্দীপনা' শব্দটি গঠিত হয়েছে সন-দি-প-না। এখানে ' সন' এবং 'প' স্বর দুটি বদ্ধস্বর। আর 'দি' এবং 'না' স্বর দুটি মুক্ত স্বর।
ছন্দঃ
কাব্য সাহিত্যকে ধ্বনী মাধুর্য, ধ্বনী সুষমা, শ্রুতিমধুর ও রসাল করে তুলতে ধ্বনীর যে সুশৃঙ্খল স্বরবিন্যাস পরিলক্ষিত হয়, তাকেই ছন্দ বলে।
অক্ষরঃ
এক দমে বা ঝোঁকে শব্দের যে অংশটুকু উচ্চারিত হয়, তাকে অক্ষর বলে। এক কথায়, ইংরেজী syllable এর মত। উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে উচ্চারণ করা হয়, শব্দের এ ভগ্নাংশ গুলোকেই পদ্য সাহিত্যের ভাষায় অক্ষর বলে। যেমন- নির্জন = নির্-জন, দুই অক্ষর; শর্বরী = শর্-বো-রী, তিন অক্ষর; কুঞ্জ = কুন্-জো, দুই অক্ষর।
যতি বা ছন্দ যতিঃ
একটা বাক্যকে পড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর  শ্বাস গ্রহনের সুবিধার্থে উচ্চারণ বিরতি দেওয়া হয়, একে ছন্দ যতি বলে। ছন্দ যতি দু'ধরনের;
(১) হ্রস্ব যতি ও (২) দীর্ঘ যতি।
অল্প সময়ের বিরতির  জন্য সাধারনত বাক্য বা পদের মাঝখানে হ্রস্ব যতি ব্যবহৃত হয়। বেশি সময় বিরতির জন্য বাক্য বা পদের শেষে দীর্ঘ যতির ব্যবহার হয়।
পর্বঃ
পদ বা বাক্যের এক হ্রস্ব যতি থেকে অপর এক হ্রস্ব যতি পর্যন্ত বাক্যাংশকে পর্ব বলে। এক কথায়, কবিতার প্রতিটি লাইনে সমমাত্রার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশই হল পর্ব।পঙক্তির শেষের পর্বাংশকে অতিপর্ব বলে। যার মাত্রা সংখ্যা পর্বের মাত্রা অপেক্ষা সর্বদাই কম। এধরনের পর্বাংশ লাইনের প্রথমে থাকলে তাকে উপপর্ব বলে।
উদাহরণ স্বরূপ -
অতীতের চেতনা/ সদা দাও / তাড়না//
যখনি থাকি একা/ তুমি হও/ সূচনা //
----( অতীতের চেতনা - অন্তকীর্তি)
'/' চিহ্ন হ্রস্ব যতি এবং '//' চিহ্ন  দীর্ঘ যতি বোঝনো হয়েছে। উপরোক্ত পঙক্তি দুইটির মধ্যে 'অতীত' এবং 'যখনি' শব্দ দুইটি উপপর্ব। আর শেষের শব্দ দুইটি 'তাড়না' এবং 'সূচনা' অতিপর্ব নির্দেশ করে।


মাত্রাঃ
একটি অক্ষর উচ্চরণ করতে যে সময় লাগে, তাকে মাত্রা বলে। বাংলা কবিতার সব ছন্দেই মুক্ত স্বর একমাত্রা এবং বদ্ধস্বর কখনো এক বা দুই মাত্রা বহন করে। বিভিন্ন ছন্দে বিভিন্ন মাত্রা পরিলক্ষিত হয়।


শ্বাসাঘাত বা প্রস্বরঃ
বাংলা কবিতা পাঠ করার সময় পর্বের প্রথম অক্ষরের উপর আলাদা একটা ঝোঁক বা টান বা  বিশেষ জোর দিয়ে পড়তে হয়। এ অতিরিক্ত ঝোঁক দিয়ে কবিতা আবৃত্তিকে শ্বাসাঘাত বলে। যেমন-
দেখে শেখা/ শখে শেখা/ শেখা বন্ধু/ চক্রে//
দুঃখ ব্যথা/ ব্যর্থ গ্রাসে / মাদ্যাসক্ত/ বক্রে//
  ----( মাদকাসক্তি - অন্তকীর্তি)
নিচে দাগাঙ্কিত অক্ষর গুলো শ্বাসাঘাত।


পদ ও চরণঃ
পূৃর্ণ যতি বা দীর্ঘ যতি ছাড়াও এই দুই যতির মধ্যবর্তী বিরতির জন্য মধ্যযতির ব্যবহার হয়। দুই দীর্ঘ যতির মধ্যবর্তী অংশকে চরণ বলে। আর মধ্যযতি দ্বারা বিভক্ত চরণ গুলোকে বলে পদ। যেমন-
তরু তলে আছি/ একেলা পড়িয়া | দলিত পত্র/ শয়নে//
তোমাতে আমাতে/ রতছিনু যবে | কাননে কুসুম/ চয়নে// ---( রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর)
এখানে '|' চিহ্ন দ্বারা মধ্যযতি বোঝানো হয়েছে। পূৃর্ণ যতি দ্বারা আলাদা করা অংশ দুইটিকে চরণ বলে। '|' চিহ্নের উভয় অংশকে পদ বলে।


স্তবকঃ
অনেক গুলো চরণ মিলে একটি স্তবক গঠিত হয়। সাধারনত একটি স্তবকে একটি ভাব প্রকাশিত হয়।
মিল বা অন্তমিলঃ
একাধিক পদ, পর্ব বা চরণের শেষে একই রকম ধ্বনীগুচ্ছের ব্যবহারকে মিল বলে। অলংকারের ভাষায় একে অনুপ্রাস'ও বলা হয়।
বাংলা পদ্য সাহিত্যে ছন্দ তিন প্রকার।
যথাঃ ১) অক্ষর বৃত্ত ছন্দ
         ২) মাত্রাবৃত্ত ছন্দ এবং
         ৩) স্বরবৃত্ত ছন্দ
১) অক্ষর বৃত্ত ছন্দঃ
এখানে প্রতিটি বর্ণ বা অক্ষর এক একটি মাত্রা বহন করে। অর্থাৎ এখানে চোখের হিসাব নিকাশ। বিনয় মজুমদার একটা বেশ ভাল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতানুসারে, যে বর্ণের উপর মাত্রা আছে, তাই তার মাত্রা। যেমন 'অ' অক্ষরের উপর মাত্রা আছে। তাই এটি এক মাত্রা বহন করে। আবার যুক্তবর্ণেও এক মাত্রা ধরা হয়। যেমন- ল্ল, জ্জ্ব, স্ক, ঙ্গ, ইদ্যাদি সব এক মাত্রা বহন করে। আবার 'ৎ' অক্ষরে কোনো মাত্রা নেই। তাই উৎছন্ন শব্দটি তিন মাত্রার।
কিন্তু কিছু ব্যতিক্রম আছে। স্বরবর্ণ যেমন- 'এ' সর্বদাই এক মাত্রা বহন করে। 'ও' আবার মাঝখানে শুন্য মাত্রা এবং প্রথমে থাকলে এক মাত্রা হিসাব করতে হয়। যেমন- 'খাওয়া', 'দাওয়া' দুই মাত্রার শব্দ। 'ওদের' তিন মাত্রার শব্দ এবং 'ওর' দু'মাত্রার শব্দ।
ব্যঞ্জনবর্ণ - 'ঙ' এবং 'ৎ' শেষে বসলে এক মাত্রা। যেমন- 'রঙ' দুই মাত্রা এবং 'উচিৎ', হঠাৎ, অর্থাৎ, প্রভৃতি তিন মাত্রার। 'ঙ' যুক্তাক্ষরে এক মাত্রা বহন করে। যেমন- 'কঙ্কাল', অঙ্ক, 'অঙ্কন', ইত্যাদি। আবার 'ৎ' মাঝখানে বসলে শূন্যমাত্রা।যেমন- 'উৎস' দু'মাত্রার।
অক্ষর বৃত্ত ছন্দে প্রতি পর্বে চার মাত্রা এবং শেষে দু'মাত্রার অতিপর্ব থাকে। অর্থাৎ চার এর গুনিতক + ২।
যেমন-
৪*১+২= ৬
৪*২+২=১০
৪*৩+২=১৪
৪*৪+২=১৮
৪*৫+২=২২
২৬,৩০,৩৪, এভাবে চলতে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি মাত্রার লাইন কেবল জীবনানন্দ দাশ'ই লিখেছেন।
ছয় মাত্রার অক্ষর বৃত্ত ছন্দঃ
ছয়মাত্রার অক্ষর বৃত্তছন্দের উদাহরণ নিম্নে পর্যালোচনা করা যাক।
এসো এসো/ প্রিও//
তব প্রাণ/ জিও//
তব লাগি/ প্রাণ//
করে দিব/ দান//
যদি চাও/ তুমি//
দিয়েদিব/ আমি//
জনমের/ মত//
দেব আছে/ যত//
যতক্ষণ/ আছে//
প্রাণবায়ূ/ শ্বাসে//


দশমাত্রার অক্ষর বৃত্তছন্দঃ
চল দেখি বানানো যায় কিনা দশ মাত্রার অক্ষর বৃত্তছন্দ।
পাঠকের/ মনভরে/ না'ক//
দরবারে/ কবিদের/ ডাক//
বুঝিবার/ নাহি পারি/ কবি//
দাঁত ভাঙা/ শব্দগুচ্ছ/ একি//
বলদেখি/ কি করেছ/ কবি//
নরপতি/ বলে দিল/ সবি//
ছয় মাত্রা ভাঙার যদিও কোন নিয়ম নেই। কিন্তু অন্য ক্ষেত্রে প্রতিটি লাইনকে দুইটি মহাপর্বে ভাগ করতে হয়। প্রথম পর্বে আট মাত্রা, পরের টিতে বাকিগুলো। যেমন-
১০ মাত্রা = ৮ + ২
১৪ মাত্রা = ৮ + ৬
১৮ মাত্রা = ৮ + ১০
২২ মাত্রা = ৮ + ১৪
বাকিগুলো এভাবেই চেষ্টা করতে হবে। ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এ ব্যাপারে বলেন,
" বিজোড়ে বিজোড়ে গাঁথো
জোড়ে গাঁথো জোড়।"
অর্থাৎ বিজোড় শব্দের সাথে বিজোড় শব্দ এবং জোড় শব্দের সাথে জোড় শব্দ ব্যবহার করতে হবে। তাহলে পাঠকের আর পড়তে ও শুনতে আর অস্থিরতা লাগবেনা।
২) স্বরবৃত্ত ছন্দঃ
এখানে কানে বিচার করতে হবে। অর্থাৎ শ্রবণ শক্তির উপর জোর দিতে হবে। কারন এখানে বদ্ধস্বর একমাত্রা এবং মুক্তস্বর একমাত্রা বহন করে। ছড়া এই ছন্দে লেখা হয়। মূল পর্ব সর্বদাই চার মাত্রার হয়। প্রতি পর্বের প্রথম অক্ষরে শ্বাসাঘাত হয়। দ্রুত লয় প্রাপ্ত হয়। অর্থাৎ কবিতা দ্রুত আবৃত্তি করতে হয়। যেমন-
(১) কাঠামোঃ ৪ + ৪ + ৪ + ১
মাত্রা বিন্যাসঃ
বাঁশ বাগানের/ মাথার উপর/ চাঁদ উঠেছে/ ওই//
মাগো আমার/ শোলক বালা/ কাজলা দিদি/ কই//
   ---( যতীন্দ্র মোহন বাগচী)
এখানে অক্ষের নিচে (_) চিহ্ন দ্বারা স্বাসাঘাত নির্দেশ করা হয়েছে। অর্থাৎ এখানে একটু ঝোঁক দিয়ে পড়তে হয়। আর লাইনের শেষের অক্ষর গুলোতে মিল বা অনুপ্রাস পরিলক্ষিত হয়।
(২) কাঠামোঃ ৪ + ৪ + ৪ + ২
মাত্রা বিন্যাসঃ
যখন ওরা/ অপিসে যায়/ কিংবা চালায়/ তুমুল দোকান/ দারি//
তখন আমি/ ঢেউ সাজানো/ নদীর বুকে/ দিব্যি জমাই/ পাড়ি//
--- ( যখন ওরা - শামসুর রহমান)
এখানে চার মাত্রার চারটি পর্ব এবং দুই মাত্রার একটি অতিপর্ব দিয়ে পঙক্তি গঠিত হয়েছে।
(৩) কাঠামোঃ ৪ + ৪ + ৩
মাত্রা বিন্যাসঃ
মেঘনা নদীর/ শান্ত মেয়ে/ তিতাসে//
মেঘের মতো/ পাল উড়িয়ে/ কী ভাসে//
  ---  ( ভর দুপুর - আল মাহমুদ)
এখানে চার মাত্রার দুইটি পর্ব এবং তিন মাত্রার একটি অতিপর্ব রয়েছে।
এগুলো ছাড়াও ৪ + ৫, ৭ + ৪ মাত্রার স্বরবৃত্ত পরিলক্ষিত হয়।
যেমন-
বাবুদের তাল পুকুরে
হাবুদের ডাল কুকুরে
সেকি বাস করল তারা
বলি থাম একটু দাঁড়া।
--- ( লিচুচোর - কাজী নজরুল ইসলাম)
এখানে প্রতিটি লাইন সাত মাত্রার। একটি মাত্র পর্ব দিয়ে গঠিত।
আগুনের পরশ মনি/ ছোঁয়াও পানে,
এজীবন পূৃণ্য করো/ দহন দানে।
আমার এই দেহখানি/ তুলে ধরো,
তোমার ওই দেবালয়ের/ প্রদীপ করো
নিশিদিন আলোক শিখা/ জ্বলুক গানে।
  --- ( পরশমনি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
এখানে লক্ষনীয় যে,প্রতিটি লাইনের প্রথমে সাত মাত্রার একটি পর্ব ও শেষে চার মাত্রার একটি অতিপর্ব আছে।
৩) মাত্রাবৃত্ত ছন্দঃ
এক্ষেত্রে বদ্ধস্বর দু'মাত্রা বহন করে এবং মুক্তস্বর এক মাত্রা বহন করে। কোনো অবস্থাতেই বদ্ধস্বর এক মাত্রা বহন করবে না। এখানে যুক্তাক্ষরকে আলাদা মাত্রা হিসাব করতে হবে। যেমন- কষ্ট = 'ক-ষ্-ট' তিন মাত্রার। ছন্দ = 'ছ-ন্-দ' তিন মাত্রার। তবে যুক্তবর্ণ শব্দের প্রথমে থাকলে ভাঙানো যায় না। এক্ষেত্রে মাত্রাবৃত্তেও এক মাত্রা ধরা হয়। মাত্রাবৃত্ত ছন্দের চাল বিভিন্ন মাত্রার হয়ে থাকে। যেমন- ৪,৫,৬,৭ মাত্রার চাল। অতিপর্ব চাইলে ১,২, বা ৩ মাত্রার রাখা যাবে। কিন্তু কখনো অতিপর্বের মাত্রা পর্বের চেয়ে বেশি হওয়া যাবে না।
যেমন- ছয় মাত্রার কাঠামো
৬ + ৬ + ৬ + ২
মাত্রা বিন্যাসঃ
এ জগতে হায়/ সেই বেশি চায়/ আছে যার ভূরি/ ভূরি
রাজার হস্ত/ করে সমস্ত/ কাঙালের ধন/ চুরি।
  --- ( দুইবিঘে জমি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
পাঁচ মাত্রার পর্ব এবং দু'মাত্রার অতিপর্বঃ
কবিতা কাঠামোঃ ৫ + ৫ + ২
মাত্রা বিন্যাসঃ
এভূজ মাঝে/ হাজার রূপ/ বাতি
আচম্বিতে/ প্রসাদ হারা/ য়েছে;
আমার হাতে/ দেবীরা সুধা/ এনে,
গরল নিয়ে/ নরকে চলে/ গেছে।
   --- ( নিরুক্তি - সুধীন্দ্রনাথ দত্ত)


এরূপ আর একটা উদাহরণ দেওয়া যাক।
আসতে যেতে/ এখনো তুলি/ চোখ
রেলিঙে আর/ দেখিনা নীল/ শাড়ি।
কোথায় যেন/ জমেছে কিছু/ শোক,
ভেঙেছে খোলা/ সহসা দিয়ে/ আড়ি।
   ---( নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী)


আশা রাখছি আমার এ ক্ষুদ্র সংকলন তরুণ প্রজন্মের কাজে লাগবে। পরবর্তী আলোচনায় 'সনেট' নিয়ে কথা বলব।
সহায়ক বই এবং ওয়েব সাইট সমূহঃ
১) ঈশ্বরীর স্বরচিত ও অন্যান্য নিবন্ধ - বিনয় মজুমদার।
২) কবিতার ক্লাস - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
৩) ছন্দের বারান্দা - শঙ্খ ঘোষ।


৪) “বাংলা কবিতার ছন্দ”, অমল পাল,
২০১১, লালমাটি প্রকাশন
৫) “কবিতার ক্লাশ”, নীরেন্দ্র নাথ
চক্রবর্ত্তী, ১৯৯৫, আনন্দ পাবলিশার্স
৬) “ছন্দ”, প্রবন্ধ, রবীন্দ্র-রচনাসমগ্র,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্র রচনাবলী;
www. rabindra-rachanabali.nltr.org
৭) “বাংলা কবিতায় ছন্দের ব্যবহার”,
সাহিত্য আলোচনার এক উপস্থাপন,
সুদীপ্ত ভৌমিক, ২০১২, আনন্দ মন্দির, নিউ
জার্সী।
৮) ড. সুধাংশু শেখর শাসমল, নবছন্দ
শৈলী, ১৯৯৮, মডার্ন বুক এজেন্সী,
কলিকাতা
৯) আধুনিক বাংলা ছন্দ ও অলঙ্কার,
কাজী মুহম্মদ অলিউল্লাহ
১০) নূতন ছন্দ পরিক্রমা,প্রবোধচন্দ্র সেন
www.amarblog.com/juliansiddiqi/posts/149302
www.edpdbd.org/uap/bangla/বাংলা-ছন্দ
www.muktochintablog.com/blogpost/details/10339
www.bn.banglapedia.org/
index.php?title=%E0%A6%9B
%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6