আলোর ছটা

আলোর ছটা
কবি
প্রকাশনী নীরব আলো প্রকাশন
প্রচ্ছদ শিল্পী মনোজুল ইসলাম
প্রথম প্রকাশ ডিসেম্বর ২০২৩
বিক্রয় মূল্য 100
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

আলোর ছটা আমার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। ৫১ টি কবিতা রয়েছে এই গ্রন্থে। আমি যখন কবিতা লিখি তখন সবকিছু উজাড় করেই চেষ্টা করি। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি বিভিন্ন ধরনের বিষয়, বিভিন্নভাবে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছি। সমাজ ব্যবস্থা, ন্যায়-অন্যায়, প্রকৃতির সৌন্দর্য, কীটপতঙ্গ, পাখি, নদী, গাছপালা, ফুল ও গ্রামগঞ্জের মানুষের চাল-চলন, আচার-ব্যবহার, খাদ্য, পোশাক ইত্যাদি থেকে শুরু করে গ্রাম্য রাজনীতির প্রসঙ্গও এসেছে, সাধারণ মানুষের প্রতি অবহেলা, অভাব অভিযোগ জানাতে গিয়ে কূটকৌশলের শিকার হওয়া, হিন্দু-মুসলিম পরস্পর সম্প্রীতি সবই কাব্যিক ছন্দে কবিতার আকারে পাঠকের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কাব্যগ্রন্থটি পাঠ করে প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের এইসব বিষয়গুলোর উপর পাঠক একটা স্বচ্ছ ধারণা লাভ করতে পারবেন। আশা করি পাঠক কবিতাগুলি পাঠ করে কাব্যিক রস আস্বাদনে সক্ষম হবেন।
সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবারও বলি, পাঠক কাব্যগ্রন্থটি পাঠ করে যদি এতটুকু আনন্দিত হন, তাহলে আমার কঠোর পরিশ্রম সার্থক হবে।

ভূমিকা

সূর্যের কিরণ দানে পৃথিবীতে কারো প্রতি পক্ষপাতিত্বের প্রশ্ন ওঠে না। আলোকিত ছটায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে সবদিক। এমনকি অতিসাধারণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিত্যদিনকার জীবনও সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। কবি মইদুল আলি-র কাব্যগ্রন্থ আলোর ছটা সাধারণত অ-ধার্তব্য সেইসব মানুষদের জীবনকে নব প্রত্যুষের আলোর ছটায় উজ্জ্বল করে তুলতে চেয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের সহজ সরল, আধুনিক সুবিধা বঞ্চিত, প্রান্তজ, নিপীড়িত মানুষের জীবন নিয়েই গড়ে উঠেছে কবি মইদুল আলি-র কাব্যভুবন। তিনি গ্রাম্য জীবনের নানা অংশ বেশ স্পষ্ট করেই চিত্রিত করেছেন তার কবিতায়। গ্রামের সাধারণ মানুষের মনের ভেতরের কথাগুলো অতি সহজভাবে প্রকাশ করেছেন তার সহজ সরল কাব্যধারার মাধ্যমে। গ্রাম বাংলার বাস্তব চিত্র রূপায়নে তিনি সহজ সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন রমেশ, রমজান, গ্রাম্য চা দোকানদার, ভ্যানওয়ালা...। তাদের জীবনযাত্রা, জীবিকা ও দৈনন্দিন সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা। তাই অতিবাস্তব গ্রামীণ জীবনের সুখ-দুঃখের প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাই কবি মইদুলের এইসব কবিতায়। তার কবিতার ভাষা মিষ্টি, নরম, সহজ সরল, প্রাঞ্জল। সর্বসাধারণের সহজবোধ্য।
কলকাতা শহর থেকে প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে হাওড়া জেলার হাটুড়িয়া গ্রাম তার বসবাস। নিজস্ব অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, চারপাশের দৈনন্দিন জীবনাচারগুলো শুধুমাত্র একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবেই নয় বরং একজন সমব্যথী হিসাবেই তিনি তার কবিতায় লিপিবদ্ধ করেছেন। কারন তার কবিতায় আসা বহু অভিজ্ঞতার মধ্যে তার নিজের জীবনই অতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই কবিতার অনেক কথাই দেখা যায় প্রথম পুরুষের অভিজ্ঞতার আলোকে আলোকিত। ব্যক্তি হিসেবে কবি মইদুল একজন সহজ সরল মানুষ যিনি আর পাঁচটা গ্রামের অধিবাসীদের মতোই অনাড়ম্বর জীবন কাটাতে পছন্দ করেন। জিজ্ঞেস করলে বলেন, 'আমি একজন অতি সাধারন, নগন্য একজন মানুষ; তাই আমার কবিতায় অতি সাধারণ নগন্য মানুষদের কথাই দেখতে পাবেন। প্রকৃতির কোলেই বরাবর লালিত হয়ে এসেছি। গ্রামের প্রকৃতি আর গ্রাম্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মই আমার কবিতার প্রধান বিষয়। সেগুলোই সমাজের বাকি আর পাঁচটা সংস্কৃতিবান মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করি কবিতার আকারে। পণ্ডিতদের কাছে সেগুলো প্রকৃত অর্থেই কবিতা হয়ে উঠেছে কিনা সেটা নিয়ে ভাবি না।'
সহজ সরল কবি মইদুল বছরের পর বছর ধরে গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিতে কাব্যসাহিত্যের ঐতিহ্যের ধারা বহন করে চলেছেন নিরলসভাবে। এমন গুণী মানুষের সৃষ্টিশীল কাজকর্ম আমাদের সত্যিই উৎসাহিত করে। এখন দেখার, বাংলা সাহিত্যের পাঠক তার এই প্রচেষ্টার পৃষ্ঠপোষকতা কিভাবে করে। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'তৃষ্ণার্ত পথিক', দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ জোড়াবাণ্ডিল-এর পর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ 'আলোর ছটা'ও আশাকরি পাঠকের সমাদর লাভ করবে।

উৎসর্গ

আমার গ্রামবাসী ও গ্রামের প্রতি; যাদের সাথে আমার লালিত-পালিত হওয়া বেড়ে ওঠা, যে গ্রামের প্রাকৃতি-পরিবেশ, সামাজ-সংস্কৃতি, কর্মকাণ্ড ও নিত্যযাপন আমার লেখালেখিকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।

কবিতা

এখানে আলোর ছটা বইয়ের ১৮টি কবিতা পাবেন।

   
সার্চ করুন
শিরোনাম
মন্তব্য