রূপে গরবিনী কবিতার সাথে অনেক করেছি ঘর,
তাকে ভালোবেসে হয়তো আবেশে ভ’রে গেছে অন্তর।
কিন্তু কবিতা বড় মায়াবিনী
খেয়ালীর মতো করে বিকিকিনি,
কখনো বা তাকে মনে হয় চিনি, কখনো অচেনা পর।
রূপে গরবিনী কবিতার সাথে অনেক করেছি ঘর।
এবারে ভেবেছি নিভৃতে নীরবে নয় ডাকা বার বার,
ক’রে আরাধনা কৃচ্ছ সাধনা, সাধব না তাকে আর।
বিরহীর বেশে প্রহর কাটাব
হোক যন্ত্রণা, ফিরেও না চাব,
কোনো ছোঁয়া তার পাব বা না পাব, মানব না মোটে হার।
নিভৃতে নীরবে কবিতাকে তবু নয় ডাকা বার বার।
সংসারে কাছে আরো যারা আছে, হৃদয়ে রঙিন ফাগ
তাদের কথাটি ভুলে থাকি ভেবে হয়তো করেছে রাগ।
এবার তাদেরই ডেকে নেব পাশে
ভ’রে দেব মন প্রীতি ও সুবাসে,
কবিতার কথা যদি মনে আসে, চাইব সে দূরে যাক।
সংসারে কাছে, যে প্রেয়সী আছে, তাকে দেব অনুরাগ।
কবিতাকে আমি অনেক দিয়েছি, আমাকে কী দিলো মান!
ভাবব এবারে, সত্যি পেয়েছি কতটুকু প্রতিদান?
আর নয় নব ছন্দকে শেখা
রাত জেগে একা সে কবিতা লেখা,
শুনেও হৃদয়ে সেই কুহু-কেকা, দেব না সেদিকে কান।
স্বপ্ন-প্রেয়সী কবিতা-বিরহে যতই কাঁদুক প্রাণ।
------------