(আজ জীবনের কুঞ্জবনে
      ২৮টি বসন্ত পার করতে চলেছি
        যে সুমনা সুদর্শনার সঙ্গে
তারই উদ্দেশে নিবেদিত আজকের এই কবিতা।)

         “ওগো, তুমি যে আমার”

মিষ্টি হেসে সেই যে এসে ঘর বেঁধে এক সঙ্গে
উঠলে মেতে এই জীবনের নানান রসে রঙ্গে।
কোমল রাঙা চরণ ফেলে
            সুখের দেশে পৌঁছে গেলে,
কখন আবার দুঃখ পেলে কোন্ সে আশা ভঙ্গে,
তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে এই যে সাথীর সঙ্গে।

কাছে এসে প্রথম যখন একটু আমায় জানলে
কৌতূহলী তুমি তখন হয়তো অবাক মানলে।
খেয়ালী এক কবির মতো
          আমার ব্যাকুল ভাবনা যত,
তাদের তুমি যত্নে কত ছন্দে তালে আনলে।
প্রথম আমায় বুঝতে চেয়ে হয়তো আবাক মানলে।

পড়ছে মনে, তখন কত মান অভিমান দ্বন্দ্ব,
এই যদি সব লাগছে ভালো, এই তো লাগে মন্দ।
তখন নীরব ধৈর্য ধ’রে
           চলার শুরু নতুন ক’রে,
ধীরে ধীরে উঠল গ’ড়ে সম্প্রীতি সম্বন্ধ।
ঘুচল ক্রমে অবুঝ মনের মান অভিমান দ্বন্দ্ব।

এখন তুমি আমায় চেনো, আমি তোমার মনকে,
বুঝতে পারি এ সংসারে সত্যি আপনজন কে?
আমার প্রাণে যে সুর বাজে
         ঢেউ ওঠে তার তোমার মাঝে,
সঙ্গী হয়ে সকল কাজে কুড়াই পরম ধনকে।
চির মধুর প্রেমের ছোঁয়ায় ধন্য ক’রে মনকে।
            -----------