সোনালী দুপুরে, সোনালী আলোতে
আকাশে মেঘের ভেলা,
সবুজ মাঠে, পথে প্রান্তরে
হৃদয়ে আলোর খেলা।
সূর্যের আলোতে মেঘেরও ভেলায়
মেতেছে পাখি মনের ই খেলায়,
রাতের আধারে তারার ও মেলায়
আমিতো চড়েছি ময়ূরের ভেলায়।
মিটি মিটি আলো দেয় জোনাকি পোঁকা
তাই দেখে হেসে ওঠে, ছোট কচি খোকা।
খোকা বলে ওরে মাঝি, আমায় নিয়ে যাও
মাঝি বলে নারে খোকা, খালি নেই নাও।
ময়ূরের পিঠে চড়ে যেতে পার তুমি,
পার করে দিলে পরে, খুশি হব আমি।
এই বলে কচি খোকা ময়ূরকে দিল ডাক
খোকা বাবুর ডাক শুনে ময়ুর দিল হাঁক।
ময়ূর এসে বলে খোকা ওঠ আমার পিঠে,
ভালবেসে খেতে দেব আমার বাড়ির মিঠে।
খাব না মিঠে আমি আমায় নিয়ে চলো
আমায় নিয়ে গেলে তুমি কত নেবে বলো।
শিয়াল এসে বলে খোকা আমার পিঠে চলো
ময়ূরের চেয়ে বরং আমি অনেক ভালো।
বাড়ি নিয়ে খেতে দেব কাঁকড়ার ঝোল,
হাসি মুখে বাজাবো ঢাক আর ঢোল।
ময়ূর বলে ওরে খোকা, শোন দিয়ে কান
শিয়াল বুঝি তোমার সাথে
করে অনেক ফান।
ওর কথা বাদ দাও
আমার কথায় কান দাও।
যাবে তুমি আমার সাথে
মাছ ভেজে দেবো পাতে,
শোনাবো আরো আমি
কোকিলের গান
খেতে দেব আরো আমি
আমার বাড়ির পান।
শিয়াল বলে ওরে খোকা
ময়ূর কিন্তু অনেক বোকা
ভালবেসে বাড়ি নিয়ে
তোমায় কিন্তু দেবে ধোকা।
ওর কথা বাদ দাও
আমার পিঠে চড়ে বও,
আমার পিঠে চড়ে বসে
বাঘ মামাজাওকথা কও।
ময়ূর বলে না রে খোকা
ও তোমায় দেয়রে ধোকা
মামা কিন্তু  অনেক রাগি
শুনলে তোমায় দেবে ঝাড়ি,
বাঘ তোমার মামা জানি
তাকে আসতে দেখেছি আমি,
মামা এসে পড়লে পরে
শিয়াল কিন্তু খাবে পানি।
ঐ যে মামা আসছে তেড়ে
শিয়াল দৌড় দিল জোরে,
দাঁড়া দাঁড়া ওরে শিয়াল
মার খেয়ে যা।
মামা বলে ওরে তোরা
ধরে দিলি না?
কাল থেকে আমি ওকে
খুঁজে পাই না
ও কি না কাল থেকে
ভণ্ডামি করে,
এখন আবার খোকার সাথে
ধোকা বাজি করে
আর যদি কোন দিন
ওকে আমি পাই
বন ছাড়া করবো
বলে গেলাম তাই।
খোকা বলে মামা তুমি
এসে ই যখন গেছ,
তোমার পিঠে চড়ে আমি
তোমার বাড়ি যাব।