একদা একাকি চলিছে শিয়াল
বাগান বাড়ীর পথে,
ক্ষুধার জ্বালায় খুঁজিছে খাবার
অনেক গভীর রাতে।


ঘুম নাই তার, দু চোখেতে আর
পেটেতে বাঁধিয়া পাথর,
খুঁজিতে খাবার,দুরন্ত শিয়াল
হয়েছে এখন কাতর।


আজান হলো মুয়াজ্জিনের
জাগছে ভোরের আলো,
এমনি সময় কাঁঠাল পাকার
গন্ধ নাকে এলো।


হন্নে হয়ে চারদিকেতে
খুঁজতে থাকে কাঁঠাল,
ক্ষুধার জ্বালায় এক্কেলাফে
গাছের মাথায় শিয়াল।


ডাল থেকে অন্য ডালে
কোন ডালেতে পাঁকা,
অবশেষে মিলল কাঁঠাল
একপাশে তার পোঁকা।


পাঁকা কাঁঠাল পেয়ে শিয়াল
আনন্দেতে কয়,
খাইবো তোকে পেট ভরে আজ
যতক্ষন না রাত পোহায়।


এই বলিয়া কাঁঠালেতে
মারল শিয়াল হাতা,
সাথে সাথেই নড়ে উঠলো
কাঁঠাল গাছের পাতা।


ঐ কাঁঠালের পাশেই ছিল
মৌমাছিদের বাসা,
গভীর ঘুমে কে দিল রে
আমার ঘরে ঠাসা।


দেখ রে তোরা,কে আবার
দেয় যে এখন জ্বালা,
কাউকে যদি দেখিস তোরা
বুঝিয়ে দিবি খেলা।


রানীর আদেশ মানতে ওরা
বেরিয়ে পড়ে ঝাঁকে,
তাকিয়ে দেখে,মগ্ন শিয়াল
কাঁঠাল খাওয়ার বাঁকে।


তুই তাহলে মোদের ঘুমে
করেছিলি ব্যাঘাত?
এখন তোকে বুঝিয়ে দেবো
মোদের দাঁতের আঘাত।


এই বলিয়া মৌমাছি সব
বসলো ঘাড়ে চেপে,
বিষের দাঁত বসিয়ে দিল
রাগে রাগে ফেঁপে।


লাফিয়ে পড়ে শিয়াল এবার
দৌড় দিল রে ভোঁ,
মৌমাছি সব পিছে পিছে
করছে ভোঁ ভোঁ।


মৌ থেকে বাঁচতে শিয়াল
কুয়াায় দিল লাফ,
লাফিয়ে পড়ে শিয়াল বলে
এবার হয়ত পাবো মাফ।


কুয়ার ভিতর ছিল কুমির
অনেক ক্ষুধার্ত,
শিয়ালটিকে পেয়ে কুমির
হলো আনন্দিত।


ঘপ করে ধরে বসলো
শিয়ালেরও পা,
অনেক দিন থেকে খাবার
পেটে জোটে না।


আজ আমি তোমাকে
মজা করে খাব,
পেটের যত ক্ষুধা আছে
সবি মিটাব।


শিয়াল বলে ওরে কুমির
আমায় খাবে খাও,
তার আগে একটি কথা
তুমি শুনে নাও।


আমি এখন মারা যাব
মৌমাছিদের বিষে,
তুমি যদি আমায় খাও
তুমিও যাবে শেষে।


তার চেয়ে তুমি বরং
আমায় ছেড়ে দাও,
বিনিময়ে তোমায় দিবো
মাংস ভর্তি নাও।


আমি যদি বেঁচে থাকি
তোমায় দিবো খাবার,
তুমি আমার বন্ধু হলে
খাওয়াবো বারে বার।


কুমির বলে ঠিক আছে ভাই
ওঠো আমার পিঠে,
পিঠ থেকে লাফিয়ে তুমি
যাও উপরে উঠে।


পিঠ থেকে লাফিয়ে শিয়াল
উপরে উঠে বলে,
ওরে বোকা কুমির তুমি
থাকো তোমার জলে।


পেটের জ্বালায় খাইছি আমি
মৌমাছিদের কামড়,
তোমার জন্য আর আমি
খেতে চাইনা কামড়।


জলের কুমির জলেই থাকো
আমি এখন যাই,
পেটে ক্ষুধা থাকলেও আর
খেতে চাই না ভাই।।


রচনার সময়:০১/৬/২০১৭ ইং
রোজ: বৃহস্পতিবার
সময়: রাত ৮ ঘটিকা।