তোমার পিছে মাথা উচু করে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকা
গাছপালা,লতানো তরুলতা,আর পদ্মফুল যেন,
অবলীলায়,অবাক চোখে,নীরব ছন্দে,মুগ্ধ হয়ে
তোমার দিকে,অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
তোমার এলোমেলো কালো চুল,কাজল কালো
হরিনী আঁকা রাতের তাঁরার মতো জ্বলজ্বলে
দুটি চোখ যেন,আকাশ বাতাস আলোর
ঝলকানীতে মুখোরিত করে তুলেছে।


আঁড় বাঁশির মধুর সুর যেন তোমার এলো কালো
চুলের সিঁথি বেয়ে কাজল কালো দু নয়নের মাঝ
দিয়ে, নদীর স্রোতের বেগে প্রবাহিত হয়ে,
তোমার ঠোঁটের কোনে ভেসে আসছে।
মনে হচ্ছে সেই সুর কান পেতে সরারাত বসে
বসে শুনি,তোমার লাল গোলাপি ঠোঁটের মিষ্টি
মধুর ভঙ্গি আর দুপাশে টোল পড়া গালের
টুইটম্বুর,দৃষ্টিনন্দন,হাসিমাখা,মনোমুগ্ধকর
অপরিসীম সৌন্দার্য যেন তোমাকে এইমাত্র
ফোঁটা লাল গোলাপের চেয়েও বেশী সৌন্দার্য
মন্ডিত করে তুলেছে।


তেমার মাথার এলো কালো চুলের নীচে দুপাশে
দুটি কানে ঝুলানো দুল যেন,আঁধার রাতে চাঁদের
আলোর মতো ঝলমল করছে।
শামুক,ঝিনুকের কারুকার্য মন্ডিত মালা যেন
তোমার রুপের সাথে নিজেকে বিলিয়ে দিতে
পেরে মনের আনন্দে নিজেকে ধন্য মনে করছে।
হাতের সাদাকালো চুড়িগুলো তোমার হাতে
পরতে পেরে আনন্দে নিজেকে এভেরেস্টের
চুড়ার সাথে তুলনা করতে বসেছে।


এরি মাঝে হালকা সাদাকালো রঙের সুন্দর
একটি ভেজা শাড়ি যেন,কোথা থেকে উড়ে এসে
নিজের সকল শক্তি দিয়ে, তোমার শরীরকে
জড়িয়ে রেখেছে,এবং বলছে এভাবেই  যেন
তোমার সৌন্দার্য,সম্ভ্রম অটুট রাখতে চিরকাল
তোমাকে জড়িয়ে থাকতে পারি,এ যেন
তোমার সৌন্দার্যের এক মনোমুগ্ধকর সৃষ্টি।


তখন ঐ সাদাকালো জড়ো শাড়িটির চেয়েও
নিজেকে একটু হীন মনে হচ্ছিল,আর মনে হচ্ছিল
এই মুহুর্তে আমি যদি ঐ জড়ো শাড়িটি হতে
পারতাম, তাহলে হয়তো তোমার সৌন্দার্য,সম্মান,
সম্ভ্রম বজায় রাখার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে
পারতাম।


রচনার সময়:০৬/৬/২০১৭ইং
রোজ:মঙ্গলবার
সময়:রাত ৯:৩০ঘটিকা।